Posts

Showing posts from July, 2020

ইচ্ছে-২ (কবিতা) | Ichchhe (Poem) by Tapan K Basu

Image
ইচ্ছে - ২ (কবিতা) ইচ্ছে আমার অনেক কিছু ইচ্ছে হলেই হয় না - মন যে আমার অনেক সময় মনের কথা কয় না। ভাবনাগুলো সাজানো আছে মনের একলা প্রান্তে, মনের আগল ছিন্ন করে পারবে কখনও জানতে ? ইচ্ছে যে হয় শিকল ভাঙ্গি  বে-নিয়মের মোহনায় - দস্তানা-ঢাকা হাত নিশপিশ   সংযমেরই দ্যোতনায় ; ইচ্ছের কথা বলতে গেলেই  মুখ চেপে ধরে আপন-পর, 'খবরদার' ! এই ভয় দেখিয়েই  চোর-পুলিশে বাড়ছে দর।  ইচ্ছের হাত বাড়িয়ে দিলাম  ধরে নিও, 'যদি বন্ধু হও' - ইচ্ছে-মুকুল ঝরে গেলেও   'সঙ্গে থাকবে কথা দাও'। এক হবার এই মন্ত্র 'ইচ্ছে' একান্নবর্তী ফিরে এসো - ভাল-মন্দের দ্বন্দ পেরিয়ে  সংকীর্ণতার সীমানা ছাড়িয়ে - আকাশ-নীলে মেঘের কোলে নদী, তুমি মোহনায় মেশো।  ©তপন বসু | ৬-৭-২০১৯ | ক্যাব-এ বসে image courtesy > pingtree

একটু ভেবে দেখুন পর্ব ১০ (দূরত্ববিধি) Ektu Bhebe Dekhun Ep#10

Image
একটু ভেবে দেখুন পর্ব ১০ আজকের পর্ব - দূরত্ববিধি 'বিহেভিয়ারাল সায়েন্স' - এই বিষয়টি আমার কাছে বেশ আকর্ষণীয়।  আজ অতিমারির বন্দিদশায় কেন জানি না মালুম হচ্ছে, আমাদের মস্তিষ্কে  'বিহেভিয়ারাল সায়েন্স'-এর যে সমীকরণ কাজ ক রে , তা বোধ  হয় লঙ্ঘিত হচ্ছে। আমার এক বন্ধু বলছিলেন, 'আজকাল খবরের কাগজ পড়তেও যেন ভীতি এসে গেছে। সেই একই ...... কতজন আক্রান্ত, আর মৃত্যুই বা কত ? এরপর স্বামী-স্ত্রীতে অঙ্কের খেলা, বিশ্বে Mortality Rate কি ? ভারত সেখানে কতটা এগিয়ে বা পিছিয়ে ?  আমার চেতনা বলে, আমাদের মনে বোধ হয় একটু বেশিই ভয় ঢুকে পড়েছে। আজ থেকে কয়েক মাস আগেও, ঘরের অভ্যন্তরে একেবারে নির্বান্ধব বন্দি-জীবনে আমরা কেউই অভ্যস্ত ছিলাম না। অথচ, আজ বিশেষ প্রয়োজনেও অতি কাছের মানুষকে ঘরে ঢোকবার অনুমতি দিতে সংকোচ বোধ করছি। উল্টোদিকে, সেই কাছের মানুষটিও অতি-সাবধানী হতে গিয়ে তাঁর খোলা মনের উৎসাহী ব্যবহারেও যতি টেনে দিচ্ছেন। দূরত্ব বাড়ছে আপনা হতে। আমাদের অনুভূতিগুলোও ম্রিয়মান হয়ে পড়ছে অব্যবহারে । নইলে প্রতিবেশীর নিছক জ্বর হওয়ার সংবাদেই  তাকে গ্রহণযোগ্যতার  ত্রিসীমানার ওপারে পাঠিয়ে দিচ্ছি কেন

সত্যি স্বপ্ন || কবিতা - Sotti Swapno (Poem)

|| সত্যি স্বপ্ন || (কবিতা) স্বপ্ন পারাবারে-           আমি কোথায় পাব তারে ? যে আমায় ভাসিয়ে নেবে            অচিন দেশে, আপন বেশে ! সে আমার সকল পাওয়া ধন            তবু আমি হারাই অনুক্ষণ | কি জানি কিসের আশায়           অনেক চাওয়া হৃদয় ভাসায় - পথিক, তুমি আসবে নাকি            ভালবাসার পারে ? হয়তো, স্বপ্নেরই পারাবারে !!!                    ............                তপন বসু | ২৫শে বৈশাখ ১৪২৪ 

বড়ো বিস্ময় জাগে (পর্ব-১৯) | Baro Bismay Jage Ep#19

Image
বড়ো বিস্ময় জাগে   পর্ব-১৯ 'আঘাত' বস্তুটার সঙ্গে নামে আর ব্যবহারে আমরা কম-বেশি সকলেই পরিচিত। তবে তার প্রকোপ একেক জনের কাছে একেক রকম হয়ে ধরা দেয়। কারোর কারোর ক্ষেত্রে সেই আঘাতের প্রভাব এতটাই হৃদয়বিদারক হতে পারে, যে তার মূল্য চোকাতে নিজের সহজাত মানসিকতা থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিটিকে কখনও কখনও সরে আসতে হয়। রবীন্দ্রনাথ আভিজাত্যের চূড়ায় বসে চিরকাল তাঁর চিঠিপত্র ও নানা আলাপচারিতায় নিজের মনের কথা চূড়ান্ত ব্যক্ত করেছেন, বিনা দ্বিধায়।  প্রয়োজনে  প্রতিবাদের ভাষাতেও শক্ত হয়েছেন। কিন্তু আরেক সংস্কৃতি-মনস্ক সাহিত্য-সংগীত অনুরাগীর সঙ্গে পত্রাচারে ভাষার প্রয়োগে  তাঁকে খুব রূঢ় হতে সচরাচর  দেখা যায় নি। কিন্তু এবার কি হল ? রবিজীবনের পঁয়তাল্লিশতম জন্মদিনেও এমন দুর্দম আঘাতের বার্তাবহ চিঠি ! কার কাছ থেকে ? না, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের কাছ থেকে। কেমন সেই আঘাত ? যা এখানে প্রকাশ করা জরুরী ? আজকের পর্বে তা তুলে ধরছি এই জন্যেই যে তাঁর বিপুল খ্যাতির পরিমণ্ডলে অন্য খ্যাতিমান ব্যাক্তিবর্গেরও কতটা ঈর্ষাঘন শ্লেষ থাকতে পারে, সেও এক আশ্চর্যের উদাহরণ বটে। বিজ্ঞাপনের কোন এক 'Tag Line'-এ দেখেছিলাম -

মনে পড়ে-২ সুনন্দা পট্টনায়েক | Mone Pore-2 Sunanda Patnaik

Image
মনে পড়ে -২ সঙ্গীতজ্ঞা বিদূষী শ্রীমতি সুনন্দা পট্টনায়েক সেদিন অফিস থেকে বেরোতে বেশ খানিকটা দেরি হয়ে গেল। সল্ট লেক থেকে গাড়িটা নিয়ে সবে লেক টাউন ফ্লাইওভার ধরব, ফোনটা এল। তপনদা, আমায় তুমি মনে করতে পারবে কিনা জানি না। আমি অরিন্দম, আমরা গুরুভাই - একসঙ্গে কিছুদিন গান শিখেছিলাম। আমার গান শেখা মানে তো প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে, যে কোন রসদ থেকে। এর শুরু সেই প্রথম দিন, যেদিন মা'র গলায় গান শুনতে শুনতে গানকে ভালবেসেছিলাম। তবু গুরুভাই বলতেই তাঁদের কথাই প্রথমে মাথায় এলো, যাঁদের কাছে আমি বহুদিন গান শিখতে পেরেছি ও গানসংক্রান্ত জ্ঞান আহরণের সুযোগ পেয়েছি। অরিন্দম বলল, 'আমি রবীন্দ্রসংগীত কিছুদিন শিখেছিলাম দ্বিজেনদার কাছে'। বয়সের ফারাক বিচার না করেই পিতৃ বা মাতৃসম গুরু কত সহজে আমাদের দাদা, কাকু, জেঠু হয়ে ওঠেন এবং সেটা সম্ভব হয় তাঁদেরই আপন করে ছাত্র-ছাত্রীকে কাছে টেনে নেওয়ার প্রবৃত্তিতে। গভীর প্রাপ্তির অন্দরমহলে যেই দ্বিজেনদার ছবি ও তাঁর কাছে থাকার মুহূর্তগুলো স্পষ্ট হতে শুরু করেছে, অরিন্দম বললে, 'আমি এখন খেয়াল শিখি সুনন্দাদির কাছে'। আমি তো লাফিয়ে উঠলাম।  কতদিন ভাবছি, আমার ভাগ্যে

বৃষ্টির গান । তপন বসু | Rain Song

Image
বৃষ্টির গান । তপন বসু  বৃষ্টিতে বৃষ্টিতে  মন কেন উচাটন  ঘরে না বাইরে  শুধু করে জ্বালাতন।  এ বড় কঠিন অসময়  তবু সাঁঝবেলা  ভাসে রূপের জোছনায়  আকাশ প্রদীপ হাতে  তারার মরণ - বুকের ঘরে যে আজ  বর্ষাবরণ ।   ঘরে আর বাইরে কেন ভেজে মন।  যেদিন কালোরা এসে নীলকে ঢাকে  পিয়াসী চাতক কিছু বোঝায় তাকে  (....... জল দাও আমায় জল দাও  আমি তাপিত পিপাসিত.....) ফোঁটা  ফোঁটা  জল নিয়ে  নব ধারাপাত  কালো আর ধুলো মুছে  নতুন প্রভাত।  বিভাবরী জাগে ভেঙে ঘুমের আবেশ   মুক্ত-মুকুটে সাজে শিশিরের দেশ  আকাশে মেঘের ভেলা   সুখের স্মরণ -  উৎসবের আঙিনায় বর্ষাবরণ।  ঘরে আর বাইরে কেন ভেজে মন।  ©tapanbasu all right reserved image courtesy > (1)ShutterStock (2)StanSchaap (3)WordPress 

বড়ো বিস্ময় জাগে (পর্ব-১৮) | Baro Bismay Jage Ep#18

Image
বড়ো বিস্ময় জাগে   পর্ব-১৮ আঘাত আমাদের জীবনকে চেনায়। সুখ-দুঃখের সাথে মিলেমিশে থাকা মানুষগুলোর স্ব-রূপ প্রকাশ পায় যখন আমরা প্রকৃত বিপদে পড়ি। কিন্তু মানসিক আঘাত আর বিপদে বিপর্যয়, সব ক্ষেত্রে এক নাও হতে পারে। মাতৃহারা  বালক রবির বয়স কম, হাল ধরলেন জ্যোতিদাদার স্ত্রী কাদম্বরী দেবী। কিন্তু মায়ের অভাব কি তাতে ঘুচতে পারে? সেও যদি বা প্রৌঢ় বয়সে হতো, নয় কথা ছিল। এ তো নিতান্তই নাবালক রবির প্রথম আঘাত - মৃত্যুর প্রথম কড়া নাড়া - সন্তানের সবচাইতে জোরালো খুঁটিটিতে। সেই বোধ হয় শুরু ! আঘাত যে কতবার কতভাবে  এসেছিল   রবির জীবনে ?  তিনি লিখেছেন, ' প্রেম এসেছিল নিঃশব্দ চরণে '।  অথচ আঘাতে বলছেন,  ' সুখের বাধা ভেঙে ফেলে তবে আমার প্রাণে  এলে   - বারে বারে মরার মুখে অনেক দুখে নিলেম চিনে' ।  আঘাত পেয়ে এমন উপলব্ধির মননটাই তো অদৃশ্য থাকবার কথা। তাঁর আঘাতপ্রাপ্তির তালিকায় কয়েকটি তার অবচেতনে ছিল, কিছুটা এতটাই আকস্মিক যে অন্য যে কেউ দিশেহারা  হয়ে পড়তে পারতেন। কিন্তু তিনি যে রবীন্দ্রনাথ ! অন্য ধাতুতে গড়া।  ধরুন না, পঞ্চাশ বছরের জন্মদিন পালন। পঞ্চাশ বছরে পদার্পণ করা মাত্র দিকে দিকে তাঁর

সততা (কবিতা)। Satota

Image
সততা (কবিতা) । তপন বসু  সততা, তুমি কষ্ট পেও না - গড়তে না পারা সাম্রাজ্যের শোকে; পাহাড়-আড়াল অপেক্ষায় আছে, অদৃশ্য হও সমাজের চোখে।  সততা, তুমি প্রকাশ্যে যাও নি - এগিয়ে দিয়েছো অন্য জীবন; সে জীবন দীন, না-ফেরতের ঋণ,  সততার ভীতই তোমার মূলধন।  সততা, তুমি প্রশ্ন কোরো না - জীবন-নাটকের যে কোন পর্বে;  কি পেলাম, আর কি হারালাম  কতটা দুঃখে, কিসের গর্বে।  সততা, তুমি হেরে যেওনা  তুমিই সবুজ পৃথিবীর চাবি  তিরিশ শতাংশ সত্যের জমিতে  সত্তর ভাগ অসত্যের দাবি।  - তপন বসু । ১০ই জুলাই ২০২০ ©tapanbasu. all rights reserved image courtesy > wired / amazon

একটু ভেবে দেখুন(পর্ব ৯)-ট্রাফিক সিগন্যাল | Ektu Bhebe Dekhun Ep#9

Image
একটু ভেবে দেখুন পর্ব ৯ আজকের পর্ব - ট্রাফিক সিগন্যাল  আমি দাঁড়িয়ে আছি ৪/৫টা গাড়ির পিছনে, ট্রাফিক সিগন্যালে। ঠিক যেখান থেকে পাতিপুকুর মিল্ক কলোনি হয়ে সিগন্যাল পেরিয়ে ডানদিকে মোড় ঘুরবো। ওই রাস্তায় একবার ঢুকে পড়তে পারলেই পাইকপাড়া, নর্দার্ণ এভিনিউয়ের ভিতরের রাস্তা ধরে বরানগর পৌঁছতে আর বেশিক্ষণ লাগবে না। অফিস থেকে ফিরছি, কাজেই সারাদিনের ক্লান্তির অবসান ওই বাড়ির অভ্যন্তরেই। বিকেল গড়িয়ে সবে সন্ধ্যে নামছে - রাস্তার আলোগুলো জ্বলতে শুরু করেছে একটা একটা করে। ওমা ! ডানদিকে ঘুরেই যেই না অর্ধেকটা গেছি, সবুজ আলো হলুদ হয়ে তিন সেকেন্ডে লাল। আগের গাড়ি গতি না বাড়ানোয় আমিও তার পিছনে মাঝ রাস্তায় - 'ন যযৌ, ন তস্থৌ' অবস্থা। হঠাৎ সেখানে মূর্তিমান এক ছায়ামূর্তির উদয় হলো, সূর্যের পড়ন্ত আলোয় দেখলাম, তিনি একজন ট্রাফিক গার্ড এবং গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ইশারায় রাস্তার বাঁদিকে আমার গাড়িটাকে পার্ক করতে বললেন। গাড়ি আমি নিজেই  ড্রাইভ  করছিলাম এবং বুঝতে একটুও অসুবিধে হলো না যে এ ওই আলোর খেলা। আগেও বেশ কয়েকবার এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি, সুতরাং এখন গা সওয়া হয়ে গেছে। কিন্তু আজ একটু জেদ চেপে গেল - কারণ

বড়ো বিস্ময় জাগে (পর্ব-১৭) | Baro Bismay Jage Ep#17

Image
বড়ো বিস্ময় জাগে   পর্ব-১৭ আমার কাছে সম্পূর্ণ ঠাকুরপরিবারই বিস্ময়সৃষ্টির এক আঁতুড়ঘর।  রবিজীবন তখনও পনেরো পেরোয় নি। আজ বলব সেই বাল্য বয়সেই এক চরম আঘাত পাবার ঘটনার কথা। চলমান জীবনের কোন কোন বিশেষ অবস্থানে আমরা এমন নিবিড় করে কখনো কাউকে কাছে পাই, যে তাকে ছেড়ে থাকার কথা ভাবতেও পারি না বা তার বর্তমান থেকে অতীত হতে যাবার বাস্তবতাকে সহ্য করবার অনুকূল মানসিক দৃঢ়তা থাকে না। জীবনের চতুর্দশ বছরে মা'য়ের আকস্মিক প্রয়াণ বিহ্বল বালক রবির জীবনে তেমনি এক চরম বিপর্যয়। মৃত্যুর ব্যাখ্যা তখনও অধরা বালকের মনে। সঙ্গী তাকেই বলা চলে যে মানসিকতার দুর্বল বা সবল - দুই মুহূর্তেই জীবনে বেঁচে থাকাকে অর্থবহ করে তোলে। সেই বিপর্যয়ে মায়ের অভাবপূরণে রবীন্দ্রনাথের 'নতুন বৌঠান' এমনই একজন চরিত্র, যে তার যাবতীয় অন্তর-সৌন্দর্যে ও শৈল্পিক কৌলিন্যে বালক রবির উত্তরণের পথে অনিন্দ্যসুন্দর পটভূমি রচনা করলেন।  মাধুরীলতা ও রথীকে সঙ্গে নিয়ে ছেলেবেলায় আমাদের মধ্যে অনেকেরই কবিতার সঙ্গে প্রথম পরিচয়  'জল পড়ে পাতা  নড়ে'র মাধ্যমে। সাধারণের সাথে অ-সাধারণের তফাৎ এই যে, সাধারণে শব্দের বানান, উচ্চারণে স্পষ্টতা,

মনে পড়ে- ১ | জ্যোতিপ্রকাশ চট্টোপাধ্যায় | Mone Pore-1

Image
মনে পড়ে যায় - ১ বন্ধু : জ্যোতিপ্রকাশ চট্টোপাধ্যায় প্রায় বিশ বছর আগেকার কথা। একটি বাংলা টেলিভিশন চ্যানেলের জন্যে আমার শুটিং চলছে। সেদিন গান করছেন শ্রীমতি শিপ্রা বসু, সঙ্গে গোবিন্দদাও মানে প্রখ্যাত তবলাবাদক শ্রী গোবিন্দ বসুও রয়েছেন। আমরা শুটিংয়ের ফাঁকে গ্রীন রুমে গান-বাজনার আলোচনায় মশগুল। হঠাৎ অতি সুদর্শন সৌম্য এক ভদ্রলোক অনুমতি চাইলেন ভেতরে আসার। পরিচয় জানলাম জ্যোতিপ্রকাশ। ধীরে ধীরে তার জ্যোতি প্রকাশ পেল আমাদের ঘনিষ্ঠতায়। স্কুলের বরাবরের ফার্স্ট-বয় জ্যোতি সঙ্গীতাচার্য জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের কাছে গান শিখেছে দীর্ঘ ২৫টি বছর। মান্না দে'র মত উন্নাসিক সংগীত-ব্যক্তিত্বের সঙ্গে বাইশ বছরের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ, এমনকি মান্না দে স্বয়ং জ্যোতি'র সুরে গান করেছেন। রেডিও-দূরদর্শনের প্রথম সারির এই কণ্ঠশিল্পীর সংগীতজ্ঞান ও  চেতনার অনুভবে বাঁধা পড়েছি বারেবার। যেদিনই কোন গানে রাগের প্রভাব সম্পর্কে দোটানায় পড়েছি, নিঃসঙ্কোচে ফোন করেছি বন্ধুকে। আর সে সমস্ত কাজ ফেলে বুঝিয়ে দিয়েছে আমার প্রশ্নের উত্তর। মনে পড়ে, একদিন আমার অফিসে টিফিন টাইম। মনটা বড় উসখুশ করছে, কাজী সাহেবের এতো অসামান্য সব বাংলা গজলের সৃষ্টি

স্মৃতির কবিতা | Smritir Kobita

Image
স্মৃতির কবিতা বৃষ্টি পড়ে  স্মৃতির কবিতারা ভিড় করে  জীবনখাতার পাতায় পাতায়। রাস্তার ধারে পুরোনো বাতিস্তম্ভের আলো  লুকোচুরি খেলে বৃষ্টিছন্দে ।   এমনই কোন এক বরিষণমুখরিত রাতে  শ্রাবনধারায় ভিজেছিলে তুমি ;  চোখে চাওয়া চোখ ভরেছিলো জলে - আনন্দধারায়। রাতের শহরের বুকে - একাকী জেগে থাকা বাতিস্তম্ভের বিনয়ী আলো রামধনু এঁকেছিল  তোমার হৃদয়ের দোতারায় - মল্লারের মীড়ে। বৃষ্টি পড়ে   খুব মনে পড়ে ।। ... তপন বসু / ১৮.৬.২০১৭ © tapan basu. all rights reserved.

একটু ভেবে দেখুন (পর্ব ৮)-বলি, হচ্ছেটা কি | Ektu Bhebe Dekhun Ep#8

Image
একটু ভেবে দেখুন পর্ব ৮ আজকের পর্ব - বলি, হচ্ছেটা কি ? বয়স্কা মা তাঁর কিশোর পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দুয়ারে অসুস্থ সন্তানকে নিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দুয়ারে দুয়ারে পুত্রের জীবন ভিক্ষা করছেন। চার ঘন্টা গুরুতর শ্বাসকষ্ট নিয়ে জীবনের দীপ জ্বালিয়ে রাখতে সবাই পারে না। কিশোর ছেলেটিও পারলো না। নিভে গেল তার ঝরঝরে তাজা জীবনের প্রদীপ। মুছে গেল মা'র চোখে ছেলের ভবিষ্যতের স্বপ্ন। মেডিকেল কলেজের সীমানায় পৌঁছেও তাকে অসীমের পথে পাড়ি দিতে হলো।  কিন্তু কেন ? এই নিয়ে কালকে বঙ্গভূমি তোলপাড় - টিভি চ্যানেলের খোপে খোপে। কিশোরটি প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে সু-চিকিৎসার দ্বারস্থ হতে চেয়েছিল। এই চাওয়াটা তো আমাদের নাগরিক অধিকার, তাই না ? আমরা বিভিন্ন খাতে খাজনা দিই তো শুধু সভ্যতার তকমায় বাঁচবো বলে, প্রয়োজনে পরিষেবা পাবো বলে, তাই না ? তাহলে এই ছেলেটি কি দোষ করল যে তার প্রাথমিক চিকিৎসার জন্যে কোন হাসপাতাল, নার্সিংহোম ভর্তি নেবে না ? শ্বাসকষ্ট করোনার অন্যতম উপসর্গ বলেই কি ? এই অবহেলার যন্ত্রণা কেন সহ্য করবে সাধারণ মানুষ, যে মায়ের চোখের সামনে চিকিৎসা না পেয়ে তাঁর সন্তানকে মৃত্যবরণ করতে হব