Posts

Showing posts from August, 2020

আজকের গানওয়ালা | Aajker Gaanwala-an Introduction

Image
আজকের গানওয়ালা প্রসঙ্গ : এই সময় ও আজকের গান  বোসে-বোসে অনেকক্ষণ কথা হল।  ফোনের ওপ্রান্তে অরিন্দম বোস, আমার বন্ধু; এই কূলে  আমি - তপন বোস। বসে থাকা ছাড়া এখন সেই অর্থে কাজও কিছু নেই। ওই বাড়িতে বসে কথা বলবার সময়ে মাস্কটা  অন্ততপক্ষে  খোলা সম্ভব। মনের মতন করে শ্বাস নিতে পারার আনন্দ। অরিন্দম দুটো নতুন গান শোনালো - স্বাভাবিকভাবেই ওই সময়ে ও মাস্ক খুলে।  আমি গান শুনলাম - মাস্কের  দুটো  খুঁটি কান থেকে নামিয়ে।  উফ্ !  কানে  কি যে ব্যাথা ?   নাক তো বাতাস থেকে  সরাসরি  হাওয়া নেওয়া প্রায় ভুলতে বসেছে ।  এমন করে গান-বাজনা হয় ? যতই virtual virtual বলে লাফাই, actual গানের মজলিস কোথায় একটা ধাক্কা খাচ্ছে না ?  কিন্তু উপায় নেই যে। যার যতই আস্ফালন থাকুক, সব ওই বাড়ির চৌহদ্দির মধ্যে থেকে।  ............... দূরে কোথায় দূরে দূরে  সুর ?  সে যে চোখ বুজেছে অন্তঃপুরে .....................  অবশ্যই মনের অন্তঃপুরে। আপাতত এই দূরে থেকেই কাছে আসার তোড়জোড় শুরু হয়েছে নানা পক্ষ থেকে। এদিকে দেবীপক্ষও আগতপ্রায়। এবারের পুজোয় কি ঠিক হতে চলেছে, আমরা কেউই সেভাবে ওয়াকিবহাল নই। আনন্দমেলা পূজাবার্ষিকী প্রকাশ পেয়

আগুন (কবিতা)। Aagun (Poetry)

Image
আগুন (কবিতা)। তপন বসু  আজ যে কথা রইল বাকি, পরে বলব বলে। ফাঁকি পড়ে গেল অনেকটা বলা সময় গেল চলে। আজকে ছুটি, বন্দি ঘরে কালকে ছুটি কাজের ঝড়ে আজ আর কালে এতই ফারাক 'মন' জানলা বন্ধ করে। খোলা হাওয়া, মেলা লোকজন ক্যামেরার চোখে এরাই সুজন  একাকিত্বের উজান বেয়ে সংক্রমণে হাসে দুর্জন। এই 'বিশে' বিষক্ষয় হবে কি হবে না একুশে আইনে মুখ মোটেই ঢাকা যাবে না - বাইশে যদি বা শ্রাবণ ভেজায় এ পৃথিবীর মাটি বন্ধ্যা হবে না। মহাজাগতিক 'শূন্য' থেকে প্রথমা 'একে'র শুরু - আদি পৃথিবীর প্রথম অংকে তিনিই নাটের গুরু অঙ্ক মিলিয়ে প্রদক্ষিণে  মহাকালের পিতা - মহাশূন্যের আগুনে পুড়ুক আগুনে অন্ধ চিতা। আগুন । তপন বসু । ১১ই জুলাই ২০২০ (c) tapanbasu. all rights reserved image courtesy > stocksyUnited & unsplash 

বড়ো বিস্ময় জাগে-২২ (শেষ পর্ব) | Baro Bismay Jage Ep#22

Image
বড়ো বিস্ময় জাগে   পর্ব-২২ (শেষ পর্ব) ১৯৩৭ - শান্তিনিকেতনে ছাতিমতলায় রবীন্দ্রনাথ কিভাবে, কি বলে যে আমার এই বিস্ময়ের উপাখ্যান শেষ করব, ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। তাঁর জীবন ও কর্মের বিশালত্ব কিংবা বৈচিত্র্য বাঙালিকে আজও বুঝতে দেয় না যে তিনি নেই। তাঁর হাত ধরেই আমাদের বাংলা ভাষা বিশ্বে বন্দিত, এমনকি শেক্সপীয়রের আন্তর্জাতিক কাজের মূল্যায়নের সঙ্গে সমানভাবে আলোচিত, সমাদৃত। বাংলা যেহেতু একটি আঞ্চলিক ভাষা, তাই এ বড়ো কম কথা নয়। সেই জন্যেই হয়তো, তাঁর মৃত্যর ৭৫ বছর পরেও আবার নতুন করে আবিষ্কার করার চেষ্টা শুরু হয় কবির প্রয়াণের নির্দিষ্ট কারণ। প্রস্টেট ক্যান্সার সেন্টারের রূপকার-অধিকর্তা ড: অমিত ঘোষের উৎসাহ ও উদ্যোগে, জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির বিশেষ সহযোগিতায় এবং রবীন্দ্রভারতী ইউনিভার্সিটি মিউজিয়ামের তত্ত্বাবধানে এক প্রদর্শনী আয়োজিত হয় ২০১৬র শ্রাবণ মাসে। সেখানে প্রদর্শিত হয় বহু শান্তিনিকেতন থেকে জোড়াসাঁকো - Last Journey অমূল্য অপ্রকাশিত ছবি - যা অবশ্যই রবীন্দ্রনাথের শেষ বয়সের। নানা তথ্য ও ঘটনার বিবরণ থেকে জানা যায় যে,  ৭৬ বছর বয়েস থেকেই কবির শরীর ভাঙতে শুরু করে, রোগভোগ গ্রাস করে তাঁর অবিরাম

আপনভোলা (কবিতা) | Aponbhola

Image
আপনভোলা ।  (কবিতা) ভোলা মন  যখন তখন   খেয়াল নিয়েই থাকে ; খেয়াল খেলায়  ইচ্ছে-ভেলায় ~ সাতকাহনের সংসার ছেড়ে আপন সুখে বাঁচে ...। এই কাহিনীর শুরুর দিকে  ভোলা, মন বেঁধেছিল নদীর বাঁকে -  ইচ্ছে ছিল ভাসবে জলে  নদী যেদিকে এগিয়ে চলে ; মন আনমনে  মাতাল হল   বাউল গানের তালে - সেই যে ভোলা ঘর ছেড়েছিল  ফেরে নি কোন কালে। কবিগান ...... বাউলগান ...... উদ্দাম জীবনের সুখী কলতান - বাঁচবার দায়  ভোলার মাথায়  কোনই বোঝা নয় ; প্রকৃতির কোলে পা বাড়িয়ে দেশান্তরের কূল ছাড়িয়ে ভোলারা, নবীন অক্ষয়।  এই ভোলা মন  সুখে-দুখে   উঁকি মারে  আনবুকে ; হারিয়ে যে যাই  ভোলার ডাকে - সংসারময় কাজের ফাঁকে,  হৃদয়  আমার  যখন তোমার  আপন হাতের দোলে।  রোজের কথা  রূপকথা হয়ে  বৃষ্টিভেজা বন পেরিয়ে  মন-বাউলের সুরে দুলে ওঠে  বসন্ত-হিল্লোলে । । ------- তপন বসু | ১০ই আগস্ট ২০২০ © tapanbasu. All rights reserved Image Courtesy - (1) Pinterest (2) goSTOPS

একটু ভেবে দেখুন-পর্ব ১১ (ডাক্তার) | Ektu Bhebe Dekhun Ep#11 (Doctor)

Image
একটু ভেবে দেখুন পর্ব ১১ আজকের পর্ব - ডাক্তার  " কত না দেশ-বিদেশ ঘুরে, অনেক যুদ্ধ জয় করে, তবেই না হয়েছো তুমি 'ডাক্তার' - আমাদের বাণিজ্যে মা লক্ষ্মী এলেও,  স্বীকৃতিতে ধন্য হলেও, পাই কি ? কাছের-দূরের নির্বিশেষে - আকুল  কোনও ডাক তার ?  এমনি জীবিকা বেছে নিয়েছ, 'বন্ধু'  দিন-রাতের সেবাধর্মে,  সময়-ঘুমে ফাঁকি - এ জীবিকা জীবন চেনায়, তাই  আর পাঁচটা কর্ম জীবন - চেনা রাস্তায় স্বজন-সুজন,  এরা সকল আর শিক্ষামহল -  রইল তারা বাকি ; এঁদের জন্যে শ্রদ্ধা রেখে   তোমার প্রতি অসীম গুরুত্বে - তোমাকেই মাথায় তুলে রাখি"।  প্রিয় ডাক্তার, তুমি ও তোমার সঙ্গে দিবারাত্র লড়াইয়ে সঙ্গী সমস্ত সহযোগীদের প্রতি আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এই লেখার গোড়াতেই। আজ এই পৃথিবী ছেয়ে গেছে রোগ আর রোগীতে। প্রতিনিয়ত তোমরা তোমাদের প্রজ্ঞা-শক্তি আর নতুন ওষুধে মারণ-রোগকে জয় করছ, আবার প্রায়শঃই হার মানছো প্রাণঘাতী কোন জীবাণুর আকস্মিক আত্মপ্রকাশে। তবু, তবু ...... তোমাদের যুদ্ধে কোন বিশ্রাম নেই। তোমাদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলি না আমরা। তোমরা কেউ আমাদের একটু ভাল চিকিৎসা করলে বা আমাদের পরিবারের ক

বড়ো বিস্ময় জাগে (পর্ব-২১) | Baro Bismay Jage Ep#21

Image
বড়ো বিস্ময় জাগে   পর্ব-২১ আজকে এই একুশতম পর্ব লিখতে বসে মন কেবলই জোড়াসাঁকো  ঠাকুরবাড়ির সেই ঘরটায় পৌঁছতে চাইছে, যেখানে কবির শ্রান্ত শায়িত দেহটিকে ঘিরে উৎকণ্ঠিত প্রিয়জনের নীরব প্রার্থনা কান্না হয়ে ছুঁয়ে যাচ্ছে বাইরে অপেক্ষমান শত-শত মানুষের হৃদয়, মৃত্যুপথযাত্রী অসামান্য এক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা বিশ্ববাসীর ভালবাসার জমিতে।  ঘটনাচক্রে  আজই বাইশে শ্রাবণ। তাই হয়ত অবচেতনে ভেসে আসছে একটা বিশ্বাস - 'মৃত্যুর পরেও যদি তেমন কোন  জীবন থেকে থাকে, যা' এতটাই জীবন্ত যে তাঁকে ইচ্ছে হলেই আজকেও আমরা ছুঁতে পারি, তিনি তো তখন আমাদের হৃদয়ে অমর হয়ে বিরাজ করেন - অমরত্বের সংজ্ঞা তো তাকেই নির্দেশ করে, তাই না? ঠিক যেমনটি ঘটেছে আমাদের গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের ক্ষেত্রে। কিন্তু আজ যদি কল্পনায় দেখতে পেতাম ঠিক বাইশে শ্রাবণের দিনটিতে আশিবর্ষীয় রবীন্দ্রনাথের মনের অবস্থা কেমন ছিল ? ..........."এই আশির দোরগোড়ায় আর সেদিনগুলোর কথা ভেবে উঠতে পারি না - বড় শ্রান্ত লাগে। তবু অবসন্ন শরীরে মনে পড়ে পোস্টমাস্টার গল্পে রতনের কথা।  অনাথা বালিকা রতন চাকরিসূত্রে উলাপুর গ্রামে আসা পোস্টমাস্টারের কাজকর্ম কর

বড়ো বিস্ময় জাগে (পর্ব-২০) | Baro Bismay Jage Ep#20

Image
বড়ো বিস্ময় জাগে   পর্ব-২০ রবীন্দ্রনাথের দুষ্প্রাপ্য ছবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন বহুমুখী ও বহুব্যাপ্ত। তাই তাঁর জীবনে বৈচিত্র্যও বড় কম নয়। আঘাতের কয়েকটি অভিঘাত রবিঠাকুরের জীবনে ঠিক কিভাবে প্রভাব ফেলেছিল, তা বিগত কয়েকটি পর্বে উল্লেখ করেছি। সেখান থেকে কেমন করেই বা তাঁর মানসিক উত্তরণ ঘটেছে, তাও আলোচনায় এসেছে। শুধু তো আঘাত নয় ! কত প্রাপ্তিও যে তাঁকে এ জীবনে ঋণী করেছিল, তা আমরা অনেকেই জানি। আর পঞ্চাশ বছরের জন্মদিনের উদযাপন-উপাখ্যান কিছুটা আমি তুলে ধরবার চেষ্টা করেছি এর আগে কোন এক পর্বে।  আয়নায় যখন আলো পড়ে, তার প্রতিফলন ঘটে ঠিক সমান অনুপাতে উল্টো দিকে। কিন্তু এ তো গেল কাঁচের তৈরী আয়না। মনের আয়নায় এই প্রতিবিম্বই আবেগ হয়ে চুরমার করে দেয় কোন আনুপাতিক হিসেব-নিকেশ। তা' আঘাতেই হোক বা উচ্ছ্বাসে। আজ যে দেশে-বিদেশে রবীন্দ্র জন্মোৎসবের এই বিচিত্র সমারোহ, তার সূত্রপাত কিন্তু রবীন্দ্রনাথের ২৭ বছর বয়েসে। তিনি যখন পঁচাত্তর পূর্ণ করে ছিয়াত্তরে পা দিলেন, সেদিন থেকে (সম্ভবতঃ ১৩৪৩ বঙ্গাব্দ) বৈশাখ মাসে দুবার করে তাঁর জন্মদিন পালিত হতে শুরু হল। এর প্রধান কারণ বিশ্বভারতীতে ২৫শে বৈশাখের আগেই গ

মনে পড়ে-৩-পীযুষকান্তি সরকার | Mone Pore Ep#3

Image
মনে পড়ে -৩ সংগীতকার শ্রী পীযুষকান্তি সরকার সারেগামা ইন্ডিয়া লিমিটেড বা চেনা নামের HMV-র কর্পোরেট অফিস তখন এসপ্ল্যানেডে - ঠিক স্টেটসম্যান অফিসের বিপরীত ফুটপাথে। আমি তখন ব্যাঙ্কে চাকরি করি। সেদিন ছুটি নিয়েছি, কারণ  HMV-তে একটা মিটিং আছে, গানবাজনার নতুন কয়েকটি প্রজেক্ট সংক্রান্ত। সময়ের একটু আগেই পৌঁছে গেছি, কারণটা ইচ্ছাকৃত। চওড়া কাঁচের দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকলেই যে আমার মত গানপিপাসুর স্বর্গসুখ। মস্ত বড় হলঘরের চারিদিকে শুধু গান আর গান। পুরোনো লং প্লে রেকর্ড সাজানো রয়েছে একদম ওপরের তাকে, সেগুলো  HMV-র ঐতিহ্যের দিশারী। কে নেই সেখানে ? গওহরজান বাঈ থেকে আরম্ভ করে উস্তাদ বিসমিল্লাহ খান, পন্ডিত রবিশঙ্কর-আমজাদ আলি খাঁ সাহেবকে ডান হাতে রেখে অর্ধবৃত্তের শেষ অর্ধে উস্তাদ জাকির হুসেন থেকে পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী। তার ঠিক নিচের তাকে সত্যজিৎ রায়ের গুগা-বাবা, পঙ্কজ কুমার মল্লিকের মহিষাসুরমর্দিনী, রবীন্দ্রনাথের শ্যামা - চোখকে পরমার্থের সন্ধান দিয়ে মনকে সংযমে রাখা। ডানদিকে-বাঁদিকে অন্যান্য নানা আকারের সেল্ফ - সমস্ত নতুন রেকর্ড-ক্যাসেট সেই অংশে দৃশ্যমান। যে কোন সংগীতপিপাসুর এখানে সময় কাটানোটা পৃথিবীর সবচেয়ে