Posts

Showing posts from June, 2020

খুব জানতে ইচ্ছে করে (কবিতা) | Khub Jante Ichchhe Kore (Poetry)

Image
(কবিতা) খুব জানতে ইচ্ছে করে   তুমি কি সেই আদর পেতে চাও ? যেখানে 'এক-পূর্ণিমা' অপেক্ষা করতে পার ! তুমি কি সেই স্পর্শ নিতে চাও ? যাকে শুধু গন্ধে ছুঁতে পার ! খুব জানতে ইচ্ছে করে - 'তুমি কি সেই আগের মতোই আছো, নাকি অনেকখানি বদলে গেছ'।  😔 তুমি সেই শব্দ আঁকতে চাও ? যা গীতবিতানে অধরা আজও ! তুমি সেই সুর শুনতে চাও ? যখন স্নায়ু বলবে,'তুমি সাজো' ! খুব জানতে ইচ্ছে করে - 'আজও কি সেই আগের মতোই আছো, নাকি অনেকখানি বদলে গেছ'।  😞 তুমি সেই জীবন দেখতে চাও ? যা ছন্দে আছে ভরা ! তুমি সেই স্বপ্ন দেখতে চাও ? যেখানে 'সত্যি' উজাড় করা ! খুব জানতে ইচ্ছে করে - 'তুমি কি আজও বেঁচে আছো, নাকি জীবন-নাটকে অভিনেতা হয়ে  গোপনে বদলে গেছ'।  ( যেদিন আমার ভালবাসার কাছের মানুষরা বদলে যাবে, জানি তেমন দিন কখনোই আসবে না।  তবু, দেখা না হওয়া সেদিনের এক কাল্পনিক কবিতা )                                                                                                           তপন বসু / ১৬ এপ্রিল ২০২০ © tap

বড়ো বিস্ময় জাগে (পর্ব-১৩) | Baro Bismay Jage Ep#13

Image
বড়ো বিস্ময় জাগে   পর্ব-১৩ পশ্চিমের বারান্দা - জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি বিশ্ব-শিক্ষা  ও সংস্কৃতির আলিঙ্গনে বিশ্বভারতীর বুকে আশ্রিত বিশ্বকবি বিশ্ব ভ্রমণ করবেন - এতে আর আশ্চর্যের কি আছে?  গোবিন্দপুর থেকে কলকাতা -  ভুবনডাঙ্গা থেকে শান্তিনিকেতন। ঠাকুরবাড়ির দেওয়ালে কত অম্ল-মধুর স্মৃতির কবিতা; আর বিশ্বভারতীর মাটিতে ঈশ্বর ও প্রকৃতির মিলেমিশে স্বর্গরচনা।  তেতলায় মহর্ষির ঘর তবু আমরা আশ্চর্য হই, বিস্মিত হই। আজ চোখের দৃষ্টি ঝাপসা, সব ছবি স্পষ্ট দেখা যায় না।  তবু মনে পড়ে - ......"একদিন তেতলায় পিতার ঘর থেকে ডাক এলো - 'হিমালয় যাচ্ছেন, বালক তাঁর সঙ্গে যেতে চান কি ?'  - এই 'চাই' কথাটা চিৎকার করে আকাশ ফাটিয়ে বলা গেলে মনের সঠিক ভাবটি প্রকাশ পেত। "কোথায় বেঙ্গল একাডেমি আর কোথায় হিমালয় ?" পাহাড়ে যাবার পথে পিতাপুত্র কয়েকদিন শান্তিনিকেতনে থেকে গেলেন।  'বেশ মনে পড়ে এখনও - ১৮৭৩-এর বোলপুর নগণ্য এক গ্রাম। স্টেশন থেকে মাইল দেড়েক দূরে কুড়ি বিঘা জমি কিনে দেবেন্দ্রনাথ ছোট একটি একতলা পাকা বাড়ি নির্মাণ করিয়েছিলেন; বাড়ির নাম দেন শান্তিনিকেতন । চারিদিকে ধূ-ধূ  মাঠ, এক

বড়ো বিস্ময় জাগে (পর্ব-১২) | Baro Bismay Jage Ep#12

Image
বড়ো বিস্ময় জাগে   পর্ব-১২ ঠাকুরবাড়ির ইতিহাসের পাতায় এবার একটু চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।   তৎকালীন গোঁড়া সংস্কার-আচ্ছন্ন  সমাজের পটভূমিকায়  খুব তাৎপর্যপূর্ণ কিন্তু এই ভূমিকা।  আমি চেষ্টা করছি খুব প্রাঞ্জলভাবে ছোট্ট করে সেই গোড়ার কথা শোনাতে।  কোথাও কোন এক জায়গায় রবীন্দ্রনাথ লিখছেন - 'আরম্ভের পূর্বেও আরম্ভ আছে, যেমন সন্ধেবেলায় দীপ জ্বালবার আগে সকালবেলায় সলতে পাকানো'। ১৮৬০ - কলকাতার গ্রাম কান্যকুব্জ থেকে আগত পঞ্চসাত্ত্বিক ব্রাহ্মণের অন্যতম ভট্টনারায়ণের পুত্র দীন, রাজা ক্ষিতিসুরের কাছ থেকে বর্ধমানের কুশ গ্রাম প্রাপ্ত হয়ে, 'কুশারী' পদবীতে পরিচিত হন। দীন কুশারীর ৮/১০ পুরুষ পরের একজন জগন্নাথ কুশারী, যিনি  পিরালী ব্রাহ্মণ শুকদেব রায়চৌধুরীর এক কন্যাকে বিবাহ করে খুলনা গ্রামে ভূসম্পত্তি পেয়ে সেখানেই বাস করতে শুরু করেন। এরও  পাঁচ-ছয় পুরুষ পর পঞ্চানন কুশারী খুলনা গ্রাম বা দক্ষিণডিহি ছেড়ে চলে এলেন কলকাতায়।   ঘর বাঁধলেন গোবিন্দপুর গ্রামে, সেখানে হরিজনদের বাস। ব্রাহ্মণ পঞ্চাননকে তারা ভক্তিভরে ' ঠাকুরমশাই ' বলে ডাকত - ব্রাহ্মণকে তো আর নাম ধরে ডাকা যায় না, তাই। পঞ্চানন

বড়ো বিস্ময় জাগে (পর্ব-১১) | Baro Bismay Jage Ep#11

Image
বড়ো বিস্ময় জাগে   পর্ব-১১ জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি জোড়াসাঁকো এবং শান্তিনিকেতন - এই দুইয়ের গোড়ার কথা একটু বলে দিলে বুঝতে সুবিধে হয় যে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের পূর্বপুরুষের আমলে পারিবারিক উত্তরণের ইতিহাস কেমন করে এতটা প্রভাব ফেলেছিল তাঁর ওপর এবং মহর্ষির জীবনচর্চায়ই বা কিভাবে ছোটবয়সেই রবীন্দ্রনাথকে শিখিয়েছিল সত্য ও সুন্দরকে অনুভবে ছুঁয়ে যেতে ! সেই আবহমান ধারা যে আজ আমাদেরকেও স্পর্শ করে ! আমাদের রবীন্দ্রনাথের বাল্যকালে শেখা একটি নিত্য-অভ্যাসের কথা বলি। পর্ব ৮-এ আমি বলেছি বালক রবির অমৃতসরের গুরুদ্বারে শিখ ভজন শুনে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় প্রকাশিত একটি হিন্দি গানের বাংলা তর্জমা করবার ঘটনা।  মাথায় রাখতে হবে, এ সবই ১১, ১২ কিংবা ১৩ বছর বয়সের অভিজ্ঞান। ওই সময়ই জ্যোতিদাদার 'সরোজিনী' নাটকে রাজপুত মহিলাদের চিতায়  আত্মাহূতির মুহূর্তে 'জ্বল জ্বল চিতা' গানের প্রয়োগ কতটা বিস্ময়কর, তা সহজেই অনুমেয় এবং এহেন প্রতিভার স্বাক্ষর আজকের দিনেও বিরল। যেটা যোগ করতে ভুলে গেছিলাম, 'সরোজিনী' নাটকে নাম-ভূমিকায় অভিনয় করতেন নটি বিনোদিনী - যে নটি বিনোদিনীর বাংলা থিয়েটার-এ অভিনয় জীবন ছিল মা

একটু ভেবে দেখুন (পর্ব ৪)-বিজ্ঞাপন ও অবসাদ | Ektu Bhebe Dekhun-4

Image
একটু ভেবে দেখুন  পর্ব ৪ আজকের পর্ব - বিজ্ঞাপন ও অবসাদ  অবসাদ আজ বাংলার  কথা আর এক বাঙালির কথা। এই পর্বে এই বাঙালিকে আমরা 'স্বপ্নিল' নামে চিনব।  ছেলেবেলা থেকেই বই-পড়ার প্রতি দারুণ আগ্রহ। মুড়ির ঠোঙা থেকে মুদিখানার স্লিপ - তার বই-পড়ার লিস্টিতে কেউ বাদ যায় নি। হঠাৎ কেমন করে যেন রবীন্দ্রনাথের 'জীবনস্মৃতি' হাতে এল। বালককে তো থামানো দায়। ওই বইয়ে যা যা উদাহরণ আছে, তার সব কিছুই এই মুহূর্তে জানা দরকার। তাগিদ তাকে সমগ্র রবীন্দ্রনাথ পড়িয়ে ছাড়ল। এবং সে সংগীতের প্রতি অনুরক্ত হয়ে উঠল - ধীরে ধীরে। শুরু হল গান শেখা, তারপর শাস্ত্রীয় সংগীত, স্বনামধন্য সুরকারের কাছে বাংলা গানের তালিম - এই সমস্ত কিছু নিয়ে সে হয়ে উঠল এক অন্য মানুষ। যে বুঝতে শিখল - আমাদের বাঙালির অহংকার করবার সত্যিই অনেক কিছু আছে, আর তার আসমুদ্র জ্ঞানভাণ্ডারে যদি সঠিকভাবে সঠিক গুরুর তত্ত্বাবধানে গা ভাসানো যায় - তাহলেই প্রকৃত মুক্তিস্নান। আর সে যত শিখতে লাগল, ততই অনুধাবন করতে শুরু করল, এ জ্ঞানসমুদ্র বাস্তবে অসীম - যতই শেখা যাক না কেন, আসলের তুলনায় তা কিছুই নয়।  ব্যাস ! এই তার ' কাল ' হল ! তাকে

বড়ো বিস্ময় জাগে (পর্ব-১০) | Baro Bismay Jage Ep#10

Image
বড়ো বিস্ময় জাগে   পর্ব-১০ গত পর্বে যে গল্প শুনিয়েছি, তা সবই কবির ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত ঘটে যাওয়া স্মৃতিকথা। তাঁর ছেলেবেলার আরো একটা ঘটনা আজ মনের মধ্যে গভীর রেখাপাত করছে। উদারতা আর মনের নিষ্কলুষ পবিত্রতার সংজ্ঞা এক এক জনের কাছে এক এক রকম - এটাই বাস্তব। মহর্ষির ক্ষেত্রে সেই উদারতা দূরদৃষ্টির পটভূমিকায় অনেক বিস্তীর্ণ ছিল। পিতা দেবেন্দ্রনাথের  তেমনই এক  অকরুণ উদার স্নেহ-আশীর্বাদের কথা  প্রৌঢ়  রবীন্দ্রনাথের খুব মনে পড়ে।  মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর .........."মহর্ষি তখন চুঁচুড়ায়। সেখানে আমার এবং জ্যোতিদাদার ডাক পড়িল। হারমোনিয়ামে জ্যোতিদাদাকে বসাইয়া তিনি আমার কাছে সব ক'টি নতুন গান একে একে শুনিলেন - কোনটি দুবার। গান গাওয়া যখন শেষ হইল তখন তিনি বলিলেন - "দেশের রাজা যদি দেশের ভাষা জানিত ও সাহিত্যের আদর বুঝিত, তবে কবিকে তো তাহারা পুরষ্কার দিত। রাজার দিক হইতে যখন তাহার কোন সম্ভাবনা নাই, তখন আমাকেই সে কাজ করিতে হইবে - এই বলিয়া তিনি একখানি পাঁচশো টাকার চেক আমার হাতে দিলেন".......... রবিঠাকুরের জীবনস্মৃতিতে পিতা মহর্ষির অনির্বাণ উপস্থিতি। রবীন্দ্রনাথের কোন

একটু ভেবে দেখুন (৩) - দৌড় | Ektu Bhebe Dekhun Ep#3

Image
একটু ভেবে দেখুন - ৩ আজ : দৌড় সেদিন একমনে তাকিয়ে ছিলাম জানলার বাইরে দিয়ে ........ আকাশের দিকে  আকাশ বললে, 'অমন করে কি দেখছ ? আমি বললাম, 'মনে হলো বৃষ্টি আসবে, তাই দেখছিলাম তোমার আঁচলের কোন প্রান্ত থেকে জল  এতো অঝোরে  বৃষ্টি হয়ে নামে ! সে শুধোলে, 'দেখা গেল? আমি মাথা নাড়লাম, 'না'।  কোথা থেকে একরাশ মেঘের পাহাড় ঢেকে দিল আকাশের মুখ  কথা বাকি রয়ে গেল।  বৃষ্টি হল অল্প খানিকক্ষণ।  আমার মন ভিজল, পৃথিবীর শরীর ভিজল না।  চটিটা পায়ে গলিয়ে বের হলাম রাস্তায়।  একটু এগিয়ে রাস্তা দু'ভাগ হয়ে  উল্টোমুখে পথ হারিয়েছে ।  বাঁহাতের রাস্তাটা আমার খুব পছন্দের - কালো পিচের কাঠিন্য পেরিয়ে রাঙামাটির দেশ  আর সেখানে কুড়ি-বাইশ ঘরের ছোট্ট গ্রাম  অনেকটা ফাঁকা জমি দেখে বসে পড়লাম।  ইচ্ছে হল মাটিতে কান পাতি -  'তোমার আপনহৃদয়গহনদ্বারে'। মাটি শুধোলে, 'কি শুনছো ? বললাম, 'শুনছি না, খুঁজছি - তোমার না বলা কথা।  মাটি বললে, 'সে তুমি কোনদিনও পাবে না।  'কেন ? তুমি বললেই তো জানা যায়' ! - আমার অবাক প্রশ্ন।  মাটি বললে, তা হবার নয়।  তুমি তো আকাশকেও প্রশ্ন ক

বড়ো বিস্ময় জাগে (পর্ব-৯) | Baro Bismay Jage Ep#9

Image
বড়ো বিস্ময় জাগে   পর্ব-৯ অস্পষ্ট মনে পড়ে  মা-হারা বালক রবির সেদিনের কথা - বালক রবি ও মা সারদা দেবী .........." প্রভাতে উঠিয়া যখন মায়ের মৃত্যু-সংবাদ শুনিলাম, তখনও সে কথাটার অর্থ সম্পূর্ণ গ্রহণ করিতে পারিলাম না। বাহিরের বারান্দায় তাঁর সুসজ্জিত দেহে জীবন হইতে জীবনান্তের বিচ্ছেদ স্পষ্ট করিয়া চোখে পড়িল না। কেবল যখন তাঁহার দেহ বহন করিয়া সদর দরজার বাহিরে লইয়া গেল এবং আমরা তাঁহার পশ্চাতে শ্মশানে চলিলাম, তখনই সমস্ত শোকের ঝড় যেন একেবারে এক দম্কায় আসিয়া মনের ভিতরটাতে এই হাহাকার তুলিয়া দিল যে, এই বাড়ির এই দরজা দিয়া মা আর একদিনও তাঁহার নিজের এই চিরজীবনের ঘরে আপনার আসনটিতে আসিয়া বসিবেন না "........ স্মৃতিপথে ছেলেবেলা বড়ই প্রভাব ফেলছে। আজ রবীন্দ্রনাথের অভিজ্ঞানী দৃষ্টিপথে কিছু বিশেষ মুহূর্ত যেন স্নায়ুকে দুর্বল করে দিচ্ছে।  এই তো সেদিনের কথা ! বিদ্যাপতি ........." একদিন মধ্যাহ্নে খুব মেঘ করেছে।  সেই মেঘলা দিনের ছায়াঘন অবকাশের আনন্দে বাড়ির ভিতরের এক ঘরে খাটের উপর উপুড় হইয়া পড়িয়া একটি স্লেট লইয়া লিখিলাম 'গহনকুসুমকুঞ্জমাঝে' । ........... ১৮৭৫ সালে পিতার সঙ্গ

একটু ভেবে দেখুন-২ : পাগল | Ektu Bhebe Dekhun Ep#2

Image
একটু ভেবে দেখুন - ২ |  তপন বসুর 'কলমে'  আজ : 'পাগল' আজ রিকশায় বাড়ি ফিরছিলাম। হঠাৎ একজনের কন্ঠস্বরে চমকে উঠলাম -  'ও ভাই রিকশা,  কিসের এতো নকশা ? পা দুটোই তো আছে বেঁচে - তাও কি আজ দেবে ছেঁচে ?' রিক্সাওয়ালা কি বুঝল কে জানে ! এক লম্ফ দিয়ে রিকশা নিয়ে উল্টোদিক থেকে আসা এক বাইকওয়ালার ঘাড়ে গিয়ে  প্রায়   পড়ে আর কি ?  কবির দিকে তাকিয়ে দেখলাম। বেশ লম্বা, পাতলা চেহারা। করোনা মুখোশে মুখ দেখা গেল না। অবিন্যস্ত চুল। আপন মনে বিড়বিড় করতে করতে চলেছে। তার 'ছড়া'য় যে কি হলো এদিকে, কোন ভ্রূক্ষেপ নেই সেদিকে। পথে-ঘাটে এমন অনেক মহিলা-পুরুষকে দেখা যায়, যারা আপনমনে বকবক করতে করতে রাস্তা দিয়ে চলেছে। কখনও কাউকে হাতের কাছে পেয়ে দু-চারটি আপত্তিকর  মন্তব্যও উপহার দিচ্ছে। আমরা এদের 'পাগল' বলি। পাগলে কিই না বলে ! একটি বহুল প্রচলিত বাংলা গানে 'এক পাগল সাপলুডো খেলেছে বিধাতার সঙ্গে - ফুটপাথের ঠিকানায় বসে'। খোঁজ নিলে দেখা যাবে, এই পাগলেরা হয়ত কোন ভদ্র-বংশের, ভাগ্যের ফেরে নিজের জীবনে বেঁচে থাকার অর্থ জোগাতে পারে নি - হয়তো পায়নি স্নেহময় ইশারায় এগিয়ে য

বড়ো বিস্ময় জাগে (পর্ব-৮) | Baro Bismay Jage Ep#8

Image
বড়ো বিস্ময় জাগে   পর্ব-৮ সঙ্গীতজ্ঞ তানসেন সম্রাট আকবরের দরবারে গুরুদেবের গান নিয়ে আলোচনা করতে গেলে ভারতীয় সংগীত সম্বন্ধে কিছু জ্ঞান থাকা দরকার, তা' অনুভব করেছি। তাই নিজের উদ্যোগে সরাসরি গিয়ে হাজির হই শ্রী নীহাররঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের বাড়ি। অকপটে জানাই যে আমি শ্রী দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ের ছাত্র। সেখানে গান শিখতে গিয়ে আমার মনে হয়েছে, আমি তাঁর দেখানো গানের অন্তর্নিহিত ভাব আরো অনুভব করতে পারব যদি ভারতীয় রাগ সংগীত সম্পর্কে জানতে পারি।  তাই আপনার কাছে এসেছি।  রবিঠাকুরের গান নিয়ে আমরা আজকের দিনেও 'বাণী'র দিকে অনেক বেশি নজর দেই। কিন্তু সে সময় তাঁর গান ভারতীয় সংগীতে কতটা পরিবর্তন এনেছিল, তা অনেক সময়েই আলোচনার বাইরে থেকে যায়। এ কথা বলছেন আচার্য শান্তিদেব ঘোষ। শান্তিদেব  গুরুদেবের গান নিয়ে  বই প্রকাশে উদ্যোগী হয়েছেন এবং তার প্রাথমিক খসড়া গুরুদেবকে শোনাতে তিনি শান্তিদেবকে এতো চমৎকার এক চিঠি লেখেন ১৯৪১ এর গোড়ার দিকে যে, শান্তিদেবে ঘোষের বই লেখার তাগিদ বহুলাংশে বেড়ে যায়। একজন  বিশ্বমাপের স্রষ্টার ক্ষেত্রেও তাঁর তৈরী করা গান সম্পর্কে মানুষের তৎকালীন অবহেলা যে রবীন্দ্রনাথকে

উজানিয়া | ujania

Image
' উজানিয়া ' । কবিতা  দু'চোখ যেদিকে যায় -            মন কিছু খুঁজতে চায়,                          এটুকুই আমার দৃষ্টি।   Niagara Ontario Canada 2014 pc.tapan দৃষ্টির ওপারে ঝাপসা ছায়া -             তার ওপরেই যত মায়া,                          উপলব্ধির সংবিধানে                           সবই তোমার সৃষ্টি।  দৃষ্টিসুখেই সমুদ্র-পাড়ি -             দৈনন্দিনে ছোট্ট দাঁড়ি,                          সৃষ্টি খোঁজার আনন্দে মন                           হারিয়ে গিয়েছে সকল ছাড়ি।। তপন বসু / ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ Ⓒ tapan basu. all rights reserved