Posts

Showing posts from May, 2021

একটু এগিয়ে (কবিতা) by তপন বসু

Image
একটু এগিয়ে (কবিতা) এই সময়ের বুকে কি একটু আঘাত লেগেছে, অভিমানে ধাক্কা ? নতুন ভাইরাসে নিশ্চিহ্ন বসুন্ধরা, এ খবর এতোটাই পাক্কা  ? যত বলশালী প্রশ্নের বাণ  ততো তৎপর উত্তর - ভয়ের ধ্বজা নিপাত যাক, ভাইরাসকে বলি "ধুৎ তোর !" আমরা দেখেছি নতুন জাপান  বিশ্বযুদ্ধের পরে  আজ, মানব শক্তি বিলীন হবে, একদিনের ওই জ্বরে ? একজন প্রাণী, একটা প্রাণ  শুধু সেটাই তো নয় সত্যের প্রকাশ ! মৃত্যু এক,  শপথ   অনেক - চেতনার শৃঙ্খলে বাড়ে বিশ্বাস।  স্থবির পৃথিবী বাড়িতে বসে  সুযোগ দিয়েছে ভাবার  কি ভাবে লড়বে আগামী জীবন  যদি মহামারী আসে আবার ? এমন যুদ্ধ কল্পনাহীন  নাগরিক অস্ত্র ছাড়াই  অণু-পরমাণু-জীবাণুর সাথে  যমে-মানুষে লড়াই।  কলেরা-হাম-বসন্ত হেরেছে  টিকা আবিষ্কারের শেষে  করোনারও আর দাঁত ফুটবে না  জিতবে না অক্লেশে।  ঘড়ি যদিও বা থমকে দাঁড়ায় সময় থামে না - প্রতি আবিষ্কারের পূর্বরাগে, নিশ্চিত প্রসব-যন্ত্রণা।  যন্ত্রণা দিয়ে একটা বছরে   শিকলে বেঁধেছ ত্রাস - আর ক'টা দিন সবুর করো  আসছে...... তোমার সর্বনাশ। প্রতিরোধের জাল গাঁথা হয়ে গেছে সুতোটুকু জোড়া বাকি  এদিকে ধ্বংস, ওদিকে উদয়  এসো, নির্ভয়ে থাকি।। - তপন বসু / ৩০শে মে ২

শানওয়ালা (কবিতা) by তপন বসু

Image
শানওয়ালা (কবিতা) 'শান দেবেন নাকি ? ছুরি, কাঁচি, বঁটিতে শান ? দেবেন নাকি' ? ......... শহরের মূল রাস্তা থেকে আমাদের পাড়ার মোড়ে হাঁক দিয়ে যাচ্ছে শানওয়ালা।  আমি তাকে ডাকলাম ......... ও শানওয়ালা ! আমার বাড়ির যন্ত্রে আরেকটু শান চাই - আলু, পটল, পাকা এঁচোড় - যারা আমার থেকে দুর্বল ও শীর্ণ  ধারালো ছুরির ভয় দেখিয়ে এসো, ওদের বশ্যতা মানাই।  বয়স যে আমার শক্তি কমিয়েছে - ও শানওয়ালা ! আমার অস্ত্র ধারালো রেখো  - চেতনাহীন সব্জিমণ্ডলীর খাদক হয়েই পুষ্ট থাকি - নইলে আমার যে কিছুই করার নেই, তুমি কি আমাকে তেমনই নিস্পৃহ দেখো ?  শানওয়ালা, তোমার চাকায় শক্তি আছে তুমি বিক্রি করো ভয়  - আস্ফালনকে স্ফীত করে  দেখাও মধ্যবিত্তের জয়।  তোমার কাছে আমিও কিনছি ভয় অন্যকে দেখাব বলে, এও জানি আমি ক্রমশঃ ফুরোচ্ছি  অনেক না ভাল লাগা নিয়ে, তলে তলে।  ও শানওয়ালা ! তোমার কোন বন্ধু আছে ? যে দিতে পারে আমার ইচ্ছে-মগজে শান ? আমি যে শুনছি আগামীর ডাক - বুদ্ধিজীবী মানুষের আহ্বান।  ধারালো অস্ত্র বেজায় ছিল বিধাতার দেওয়া বুদ্ধির ঘরে  অতি-বুদ্ধির ভোঁতা ব্যবসায়  মাশুল গুনেছি মরীচিকা জ্বরে।  ও শানওয়ালা ! এবার যে দেখছি নতুন স্বপ্ন ! বিবর্ণতা 

শুভ-পরিণয় (কবিতা) by তপন বসু

Image
শুভ-পরিণয় (কবিতা) কথা ছিল না, গান ছিল  সুর ছিল বড়ো একা - ভোরের বেলা জানলা খুলতেই  সেদিন, বাণীর সঙ্গে দেখা।  প্রবাহ বড়ই খামখেয়ালি  লীলা বোঝা বেশ দায়  কাল তোমার ওই বন্ধু সুজন  আজ, আমার আঙিনায়।  বিভাজনগুলো অস্পষ্ট  তবু, ধরা দেয় অনুভবে - ভাবি, প্রাণের পরশে পরশপাথর  গান শোনাবে কবে ? ভাবনা-ভারেই হঠাৎ দেখা  অদেখার প্রহর শেষে - দেখি, গানের খেয়া পাড়ি দিয়েছে সব পেয়েছির দেশে।  খোলা আকাশেই গানের বোধি  কোমল-কড়ির দৃষ্টি - বাঁধন ছিঁড়েই বাঁধা যদি পড়ে  আসন্ন ......  নতুন গানের সৃষ্টি ।। তপন বসু / ২রা মে ২০২১

ঘড়ি (কবিতা) by তপন বসু

Image
ঘড়ি (কবিতা) ঘড়িটা হঠাৎ দেখলাম থেমে গেছে - আজ সকালে ঘুম ভেঙেছে বেলায়, ছুটির দিনের আলস্যি নিয়ে - দেখলাম - ঘড়িটা থেমে রয়েছে।  থেমে গেছে কাল রাতে ; এখনও আমার ঘুম লেগে আছে চোখে - কাল রাতে বিনিদ্র ছিলাম  একটা ফোনের প্রতীক্ষায় - যাকে অভ্যন্তরে বেঁধে রাখি ভালোবাসার শিকলে  তার ফোন - সে আমার বন্ধু না প্রেয়সী জানি না ; শুধু জানি আমার সংগীত ও সাহিত্য পিপাসু মনের  সে দোসর - যেখানে আমার লেখনী, সুরের চরাচর,  মানসিক অভিব্যক্তির অনাবিল উদ্ভাস।  তার চোখের তারার রং পরিবর্তন - আত্মতৃপ্তির গরিমা অনুভব করি,  ফোনের এপ্রান্তে - ............কিন্তু ফোনটা আসেনি।  যতক্ষণ ফোনের অপেক্ষায় ছিলাম - মগজের উচ্চসূত্র  নির্গত করেছে নতুন কবিতা, নতুন গল্পের আরও নব্যতর প্লট, স্বরবর্ণ-ব্যঞ্জনবর্ণের বর্ণময় ছুটোছুটি  ক্লান্ত করেছে আমার আকাঙ্খাকে -  ঘুমিয়ে পড়েছি কখন - ...........ফোনটা বাজেনি।  আজ, এইমাত্র ............. ব্যাটারী বদলাতে গিয়ে দেখি, ঘড়িটা আবার চলতে শুরু করেছে - ঠিক ততটা পিছিয়ে থেকে, যতটা রাত আমি জেগে ছিলাম।।  তপন বসু / 5.6.2021 Image Couresy > unsplash