বড়ো বিস্ময় জাগে-২২ (শেষ পর্ব) | Baro Bismay Jage Ep#22

বড়ো বিস্ময় জাগে 
পর্ব-২২ (শেষ পর্ব)

১৯৩৭ - শান্তিনিকেতনে ছাতিমতলায় রবীন্দ্রনাথ

কিভাবে, কি বলে যে আমার এই বিস্ময়ের উপাখ্যান শেষ করব, ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। তাঁর জীবন ও কর্মের বিশালত্ব কিংবা বৈচিত্র্য বাঙালিকে আজও বুঝতে দেয় না যে তিনি নেই। তাঁর হাত ধরেই আমাদের বাংলা ভাষা বিশ্বে বন্দিত, এমনকি শেক্সপীয়রের আন্তর্জাতিক কাজের মূল্যায়নের সঙ্গে সমানভাবে আলোচিত, সমাদৃত। বাংলা যেহেতু একটি আঞ্চলিক ভাষা, তাই এ বড়ো কম কথা নয়। সেই জন্যেই হয়তো, তাঁর মৃত্যর ৭৫ বছর পরেও আবার নতুন করে আবিষ্কার করার চেষ্টা শুরু হয় কবির প্রয়াণের নির্দিষ্ট কারণ। প্রস্টেট ক্যান্সার সেন্টারের রূপকার-অধিকর্তা ড: অমিত ঘোষের উৎসাহ ও উদ্যোগে, জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির বিশেষ সহযোগিতায় এবং রবীন্দ্রভারতী ইউনিভার্সিটি মিউজিয়ামের তত্ত্বাবধানে এক প্রদর্শনী আয়োজিত হয় ২০১৬র শ্রাবণ মাসে। সেখানে প্রদর্শিত হয় বহু
শান্তিনিকেতন থেকে জোড়াসাঁকো - Last Journey
অমূল্য অপ্রকাশিত ছবি - যা অবশ্যই রবীন্দ্রনাথের শেষ বয়সের। নানা তথ্য ও ঘটনার বিবরণ থেকে জানা যায় যে, 
৭৬ বছর বয়েস থেকেই কবির শরীর ভাঙতে শুরু করে, রোগভোগ গ্রাস করে তাঁর অবিরাম প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর জীবনকে। ১০ই সেপ্টেম্বর ১৯৩৭, কবি  হঠাৎ অচৈতন্য হয়ে পড়েন, যার রেশ থেকে যায় টানা দু'দিন। কলকাতা থেকে ডা: নীলরতন সরকারের নেতৃত্বে এক মেডিক্যাল টিম পৌঁছলেন কবিকে যথাশ্রেষ্ঠ চিকিৎসা-প্রদানের উদ্দেশ্যে। কবির কিডনি ও প্রস্টেটের সমস্যা ধরা পড়লো। কবি নিজে এই শরীর খারাপের বিষয়টিকে কোনভাবেই গুরুত্ব দিতে চাইতেন না। ঈশ্বরের আশীর্বাদধন্য এই পরমপুরুষটি রূপে-গুণে, শারীরিক সক্ষমতায় অন্যান্যদের তুলনায় সব সময়েই ছিলেন অনেকটা উর্ধে এগিয়ে। এর সঙ্গে অসীম মনের জোর। তিনি বিশ্বাস করতেন প্রকৃতির কোলই হল তাঁর আপন আশ্রয়স্থল। তাই হয়তো বারে বারে সময় কাটাতে চলে যেতেন পাহাড়ের কোলে, প্রকৃতির আলিঙ্গনে। 


মুখোমুখি জওহরলাল নেহরু ও রবীন্দ্রনাথ
এমন অসুস্থতার মধ্যেও কাজে কিন্তু খামতি নেই। স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রশ্রয় দিতে দেখা করলেন জওহরলাল নেহেরু, সুভাষ চন্দ্র বসুর সঙ্গে। আন্তর্জাতিক ভাবনায় শিক্ষা দেবার যে পদ্ধতি রবীন্দ্রনাথ বিশ্বভারতীতে প্রবর্তন করেছিলেন, তা কোন জাতিধর্মী নয়, ভাষাধর্মী নয়। খোলা আকাশের নিচে নানাপ্রকার শিক্ষার আলোয় নিজের মুন্সীয়ানাকে আরো ঘষে মেজে লোকসমক্ষে তুলে ধরা। কাজের মধ্যে দিয়ে নিজেকে মেলে ধরা, নিজেকে খুঁজে পাওয়া। 'আপনাকে এই জানা আমার ফুরাবে না'
রবীন্দ্রনাথ ও নেতাজী সুভাষচন্দ্র


কতটা দূরদর্শী হলে এহেন ভাবনা-চিন্তাকে প্রশ্রয় দেওয়া যায় ! যে দূরদর্শিতাকে সম্মান জানিয়ে মহাত্মা গান্ধী পর্যন্ত প্রণয়ন করতে পারেন একই শিক্ষাব্যবস্থা। গান্ধীজি হাতের কাজ বা হস্তশিল্পকে সমান গুরুত্ব দিতে আর রবীন্দ্রভাবনায় শিক্ষাব্যবস্থাকে কার্যকর করতে শান্তিনিকেতন থেকেই নির্বাচন করলেন শিক্ষক, তাঁর বেসিক স্কুলের জন্যে। বিস্ময়ের কি কোন শেষ আছে ? সংস্কৃতি-চর্চায় নিবদ্ধ সমগ্র বুদ্ধিজীবির যাবতীয় সুকীর্তির কথা মাথায় রেখে, তাঁদের প্রতি যথাযোগ্য সম্মান জানিয়ে নিজের কাছেই প্রশ্ন করতে ইচ্ছে জাগে, 'এমন versatility বা বৈচিত্র্যের সম্ভার কতজন রেখে যেতে পেরেছেন উত্তরসূরির জন্যে? স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জওহরলাল নেহেরুরও কোন সংশয় ছিল না কন্যা ইন্দিরাকে শান্তিনিকেতনে পড়তে পাঠাতে - আদর করে গুরুদেব যার নাম দিয়েছিলেন 'প্রিয়দর্শিনী'।

..........এতো কিছুর মাঝেও শরীর খারাপকে সঙ্গে নিয়ে সুযোগ পেলেই লিখে ফেলছেন নতুন কবিতা, গান। আমরা প্রায়শই 'স্পিরিট' বলে একটি শব্দ নিজেদের মনস্তত্বের সঙ্গে মিশিয়ে দেবার চেষ্টা করি, নিজের কাজে তার উপস্থিতি খুঁজে পেলে ভাল লাগে। এই 'স্পিরিট' ছিল রবীন্দ্রনাথের জীবনের মূলমন্ত্র - একে শেষ দিন পর্যন্ত আঁকড়ে ধরে রেখেছিলেন। তাই আমরা তাঁর বহুবর্ণে রঞ্জিত জীবনকাব্যে এমন কিছু বিশেষ কাজের নিদর্শন পাই, যা গোটা বিশ্বের সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে এক দুর্লভ চিত্রনাট্য। 

দুটি দেশের জাতীয় সংগীত (ভারত ও বাংলাদেশ) রবিঠাকুরের সৃষ্টি। তৃতীয় দেশ শ্রীলঙ্কার জাতীয় সংগীতও রবীন্দ্রনাথের রচনা থেকেই নেওয়া, সামান্য কিছুটা বদল করে।  আজ এই শেষের পর্বে খুব বলতে ইচ্ছে করছে যে তাঁকে ঘিরে কেন এই উন্মাদনা, আজকের দুনিয়াতেও ? বিশ্বখ্যাত কবির বিশ্ববন্দিত কবিতা, ভারতের প্রথম সাহিত্যে নোবেল-প্রাপক - এই কি যথেষ্ট নয় তাঁকে নিয়ে আলোচনা করবার ? প্রসঙ্গতঃ, এই প্রথম নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হলেন ইউরোপের বাইরের কেউ (the first ever non-European Nobel Laureate)। 

না, এটুকু মাত্র যে যথেষ্ট হতে পারে না। তাঁর জীবনের নানা মুহূর্ত ঘিরে এতো রং, এতো বৈচিত্র্য, এতো আশ্চর্যের উপকরণ ...... যে কোন মুহূর্তই তো ইতিহাসের পাতায় সোনালি অধ্যায়। তবে কেন বিস্ময় জাগবে না ? কেনই বা বহুচর্চিত হবে না তাঁর সুবিশাল কর্মকান্ড ? 

দুটি উপমা তো দেওয়া গেল। জীবনভর বাউলকে মেনেছেন নিজের
ছায়া হিসেবে মনের আয়নায়। দেশে তৈরী করলেন এক নিজস্ব শিক্ষাব্যবস্থা - সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী আলোকচিত্রে প্রথাগত শিক্ষাপদ্ধতিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে। তৈরী হল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় - শান্তিনিকেতন ও শ্রীনিকেতনে তাঁর নিজস্ব জায়গাকে ঘিরে। আর বিশ্বের মানচিত্রে তিনি হলেন ভারতের সাংকৃতিক নবজাগরণের এক এবং অদ্বিতীয় 'দার্শনিক' প্রতিভূ। ১৯১৫-এ মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীকে পরালেন মহাত্মা'র মুকুট, ইতিহাস চিনলো তাঁকে মহাত্মা গান্ধী নামেই। আবার এদিকে বর্জন করলেন ইংরেজের দেওয়া নাইট উপাধি, জালিয়ানওয়ালাবাগের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে। এক জীবনে কত-শত উজ্জ্বল জীবনছবি !

যেদিন আচার্য শান্তিদেব ঘোষ শান্তিনিকেতনে বসে আবদার করলেন, 'গুরুদেব, এবার পঁচিশে বৈশাখ সমস্ত দেশ আপনার জন্মোৎসব পালন করবে। এই দিনটিকে উপলক্ষ করে একটি গান রচনা না হলে জন্মদিনের অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ হয় না'। 

হতবাক কবি আরো আশ্চর্য করলেন আমাদের।

- 'তুই আবার এক অদ্ভুত ফরমায়েশ এনে হাজির করলি। আমি নিজের জন্মদিনের গান নিজে রচনা করব, লোকে আমাকে বলবে কী ! দেশের লোক এতো নির্বোধ নয়, ঠিক ধরে ফেলবে যে আমি নিজেকে নিজেই প্রচার করছি'

কি আশ্চর্য জীবন-বোধ ! আমার মনে পড়ছে আরেক জন্মদিনের কথা। এই আত্মপ্রচার নিয়ে এক অবাক করা মন্তব্যসহ চিঠি লিখলেন রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়কে। সেটা মৃত্যুর দশ বছর আগের কথা।

"..............যাতে নাম হয়, এমন কিছু কিছু কাজ নিশ্চই করেছি। ..... অবশেষে ঊনসত্তর বছরের পরে বাংলাদেশে বিস্তর কাঠখড় দিয়ে, ঢাক-ঢোল বাজিয়ে এক জয়ন্তী সাজিয়ে নিজের নাম-মহিমাকে পাশ করবার জন্যে সবচেয়ে বড় কীর্তি রেখে গেলুম। যখন আমার জীবনী বের করবেন, আমার এই চরম চাতুরিটার কথা উল্লেখ করতে ভুলবেন না - দেশের অনেক চতুর অন্তত মনে মনে হলেও আমাকে বাহবা দেবে। বাংলার ভাবী কবিদের কাছে স্বনামসৃষ্ট পদ্ধতির একটা অপূর্ব দৃষ্টান্ত রেখে যাওয়া গেল। ............."

দশ বছর পরে সেই একই অনুভব আচার্য শান্তিদেবের কাছে ......
উত্তরে শান্তিদেব বললেন, 'জন্মদিনের কবিতা যখন লিখেছিলেন, কেউ কি দোষী করেছিল' ? ............
রাজি হলেন। '২৫শে বৈশাখ' কবিতাটির একটু অদলবদল করে সুর যোজনা হল - সেদিন ২৩শে বৈশাখ। .........
একবারের জন্যেও সেদিন মনে হয় নি এই তাঁর সর্বশেষ গান। 

১৯৪০-এর সেপ্টেম্বরে তলপেটে প্রবল যন্ত্রণায় যখন খুব কষ্ট পাচ্ছেন, তখন কবি কালিম্পঙে। তখনো তাঁর ইচ্ছা আয়ুর্বেদীয় চিকিৎসা হোক, প্রবল আপত্তি কোন অস্ত্রোপচারে। আরো কিছুদিন পার হল। এবার কিন্তু ডাঃ বিধান চন্দ্র রায় ও ডাঃ নীল রতন সরকার বেশ বুঝতে পারছেন যে এখন আর আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় কবির সুস্থ হয়ে ওঠা মুশকিল - সার্জারি করা বিশেষ জরুরী। তাঁর অবস্থা এতটাই সঙ্কটজনক হয়ে পড়ে যে কবিকে দ্রুত স্থানান্তরিত করা হয় জোড়াসাঁকোয়, শেষবারের মত শান্তিনিকেতন ঘুরে। সেটা ১৯৪১-এর জুলাই মাস।  

রবীন্দ্রনাথের ঘরের ঠিক বাইরের বারান্দায় তৈরী করা হয়েছিল মিনি অপারেশন থিয়েটার,  যেখানে জীবনের শেষ অস্ত্রোপচার করলেন চিকিৎসকেরা - কিন্তু তা বিফলে গেল। রাখীপূর্ণিমার দিন ২২শে শ্রাবণ মধ্যাহ্নে ভারতবর্ষের সর্বকালের সর্বোত্তম Cultural Ambassador-এর জীবন-প্রদীপ নিভে গেল - রয়ে গেল ৮০ বছরের এক জীবন-মহাকাব্য।

ইরানে রবীন্দ্রনাথ

প্রায় তিন ডজনেরও বেশি দেশ ঘুরে আসা এই শিল্পী-সন্ন্যাসীর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি অবশ্যই তাঁর গান - যুগ থেকে যুগান্তে তাঁর গানের বাণী ও সুর বাংলার সংস্কৃতি-মন্ডপে সর্বোত্তম স্থায়ী শিল্পকলা, অনুসরণের  উদাহরণ। কিন্তু যদি সত্যিই তাঁকে খুঁজে পেতে হয়, অবশ্যই পড়া প্রয়োজন প্রায় সাড়ে সাত হাজার চিঠির মর্মকথা। যেখানে ধরা পড়েছে এই 'Bard of India'র জীবন পরিক্রমা। 

আমাকে কেউ যদি প্রশ্ন করেন, রবীন্দ্রনাথের কাছ থেকে আমাদের শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি কি ? দ্বিধাহীনভাবে উত্তরকাল জানাবে - 'তাঁর দেখিয়ে দিয়ে যাওয়া দু'টি শিক্ষার আলো - যার এক হল সত্য, অপরটি আত্মপরিচয়।  অগণিত প্রাপ্তির মাঝে এই দুই প্রাপ্তিকে সর্বোত্তম জ্ঞান করা যায়। সকল সংকীর্ণ পরিচয়ের বৃত্ত থেকে বারবার তিনিই আমাদের বলেছেন বেরিয়ে আসতে। জানিয়ে দেন যে, কুয়োর অন্ধকারে বন্দি হয়ে থাকলে আমাদের চলবে না। অনর্গল এই বিশ্বপৃথিবীর অফুরান আলোর মধ্যেই আমাদের মুক্তি। 

সেই আলোর মধ্যেই বেঁচে থাকুন তিনি, বাঁচুক আমাদের অন্বেষণ, সংস্কৃতি, শিক্ষা - সেখানেই যে উত্তরকালের ঠিকানা। 


'আমি তারেই খুঁজে বেড়াই, যে রয় মনে, আমার মনে'

শেষের সেদিন - কবির শেষ সময়কার ছবি

🙏

 ---- সমাপ্ত ----

(শেষ কথা : "বড়ো বিস্ময় জাগে" এই শিরোনামে আজ থেকে প্রায় আট বছর আগে একটি একাঙ্ক স্ক্রিপ্ট লিখেছিলাম। যেটি সম্পূর্ণ মঞ্চে অনুষ্ঠানের কথা মাথায় রেখে এবং সচেতন কবির ১৯৪১-এ নিজের জীবনের স্মৃতিবিজড়িত জলছবির রঙকে আমার কাল্পনিক চেতনায় উপস্থাপনা করবার ইচ্ছে নিয়ে। কিন্তু যখন আমার নিজস্ব ব্লগের জন্যে এই লেখাটি নতুন করে লিখতে গেলাম, তখন পড়লাম মহা ফাঁপরে। কারণ মঞ্চের উপযোগী সেই লেখাকে হুবহু এখানে তো তুলে ধরা যাবে না ! কারণ এখানে গান সহযোগে মঞ্চ-গল্পের সেই অভিনয় তো অদৃশ্য। কিন্তু কি আশ্চর্য ! সেই রবীন্দ্রনাথই আমাকে রাস্তা দেখিয়ে দিলেন - তাঁর জীবনে যা যা বিস্মিত হবার মত ঘটনা ঘটেছিল, সেগুলো আমার চোখের সামনে পরপর ভেসে উঠতে লাগলো - এমনিতেই যেগুলো আমায় দিবারাত্র ব্যাকুল করে। তার সঙ্গে আমার নিজের লাইব্রেরির কিছু বই, যাদের লেখকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শুধুমাত্র আমার অন্তরের নিবেদন পূর্ণ হতে পারে না। এঁদের প্রত্যেকের নাম এই উপাখ্যানের শুরুতেই আমি উচ্চারণ  করেছি। তাঁদের সবিশেষ নির্মাণশৈলী আমাকে এমন সামান্য কাজ অতি সহজে করে উঠতে সাহায্য করেছে। তাঁদের প্রতি আমার সহৃদয় প্রণাম এবং আমার পাঠকদের আন্তরিক সৌজন্যতার প্রতি অশেষ ঋণ স্বীকার করে আপাতত এই ধারাবাহিক শেষ করলাম। শেষের কথা বলা আমায় শোভা পায় না। তাই যদি তিনি কৃপা করেন, এই ধারাবাহিকের দ্বিতীয় অধ্যায় লেখবার ইচ্ছে রইল। 
..........শেষ নাহি যে, শেষ কথা কে বলবে ?)

'বড়ো বিস্ময় জাগে'/শেষ

'বড়ো বিস্ময় জাগে'র ১ম পর্ব পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন। 

©tapan basu. all rights reserved.
Image Courtesy >(1)wikicommons (2)wikimedia (3)nic (4)facebook (5)shopnobaz (6)wikicommons (7)huffingtonpost

Comments

Popular posts from this blog

তপনের ডায়েরি ৭ / ৩১ আগস্ট ২০২১

তপনের ডায়েরি ৫ / ৫ আগস্ট ২০২১

স্টেরয়েড ছোট গল্প রচনা : তপন বসু