আজকের গানওয়ালা | Aajker Gaanwala-an Introduction
আজকের গানওয়ালা
প্রসঙ্গ : এই সময় ও আজকের গান
বোসে-বোসে অনেকক্ষণ কথা হল। ফোনের ওপ্রান্তে অরিন্দম বোস, আমার বন্ধু; এই কূলে আমি - তপন বোস। বসে থাকা ছাড়া এখন সেই অর্থে কাজও কিছু নেই। ওই বাড়িতে বসে কথা বলবার সময়ে মাস্কটা অন্ততপক্ষে খোলা সম্ভব। মনের মতন করে শ্বাস নিতে পারার আনন্দ। অরিন্দম দুটো নতুন গান শোনালো - স্বাভাবিকভাবেই ওই সময়ে ও মাস্ক খুলে। আমি গান শুনলাম - মাস্কের দুটো খুঁটি কান থেকে নামিয়ে।
উফ্ ! কানে কি যে ব্যাথা ?
নাক তো বাতাস থেকে সরাসরি হাওয়া নেওয়া প্রায় ভুলতে বসেছে।
এমন করে গান-বাজনা হয় ? যতই virtual virtual বলে লাফাই, actual গানের মজলিস কোথায় একটা ধাক্কা খাচ্ছে না ? কিন্তু উপায় নেই যে। যার যতই আস্ফালন থাকুক, সব ওই বাড়ির চৌহদ্দির মধ্যে থেকে।
...............দূরে কোথায় দূরে দূরে
সুর ? সে যে চোখ বুজেছে অন্তঃপুরে.....................
অবশ্যই মনের অন্তঃপুরে। আপাতত এই দূরে থেকেই কাছে আসার তোড়জোড় শুরু হয়েছে নানা পক্ষ থেকে। এদিকে দেবীপক্ষও আগতপ্রায়। এবারের পুজোয় কি ঠিক হতে চলেছে, আমরা কেউই সেভাবে ওয়াকিবহাল নই। আনন্দমেলা পূজাবার্ষিকী প্রকাশ পেয়েছে, কোন আনন্দ ছাড়াই। পুজোর গানের কি হবে? ওই ঘরে বসে-বসেই দূরকে কাছে আনবার প্রচেষ্টা চলছে - নানা অনুষ্ঠান, সিঙ্গলস, তালিম - এই সব ঘিরে।
এদিকে রাগরঞ্জনীর ত্রিশ বছর পূর্তি উৎসব নিয়ে তো এ বছর অনেক কিছু জল্পনা-কল্পনা ছিল। তার শুভসূচনাও হয়েছিল গত বছর, মানে ২০১৯ থেকেই। কিন্তু ২০২০-র সরস্বতী পুজোর পরেই যেন থামতে হল।
এলো সেই মাস্ক...... এ বছরের Fashion Icon
হাওয়াতে কথা ভাসবে না, সুর ভাসবে না, এতে নাকি ভাইরাস থাকতে পারে। ঢেকে রাখো মুখ, ঢুকে থাকো ঘরে। সুতরাং 'বহুর মধ্যে অন্যতম এক' আমাদের নিজেদের মিউজিক কোম্পানি 'রাগরঞ্জনী মিডিয়া এন্ড এন্টারটেইনমেন্ট' - সেও আরো বহুর মতো সুরহীন, ছন্দহীন - প্রায় স্থবির। কিন্তু না, ছন্দপতন ঘটেনি। তার কারণ, ছন্দে বেঁধে রাখবার জন্যে রাগরঞ্জনীর সমস্ত কর্মীবন্ধু আর ছাত্রছাত্রীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা। অফিস বন্ধ, তাই নতুন কাজে নতুন উদ্যমের কোন সুযোগ নেই। তবু আমাদের ওই অতি উৎসাহী রাগরঞ্জনী পরিবারের প্রতিনিধি হয়ে মূলতঃ তিনজন ঝাঁপিয়ে পড়লো এই ভার্চুয়াল মিডিয়াতেই কিছু একটা করবার উদ্দেশ্য নিয়ে। তাগিদটা এসেছিল অনেকের কাছ থেকেই, তবু বিশেষ করে সংগ্রাম চৌধুরী, জয়িতা ঘোষাল - এরা আমাকে বারবার নানাভাবে নতুন কিছু করবার সিগনাল পাঠাচ্ছিল। কিন্তু কিভাবে এগোনো যায়, তা নিয়ে পরিপূর্ণ কোন ভাবনা-চিন্তা করা যাচ্ছিল না। এরও কারণ সেই ঘরবন্দি মানসিক স্থবিরতা। কত কাজ থমকে রয়েছে। ২০২০-র ভেবে রাখা কাজের পরিকল্পনা আলমারির তাকেই জমে জমজমাট। এই অবস্থায় ওই তিনজন, অর্থাৎ রুমেলা, অভিষেক আর প্রিয়াঙ্কা রাগরঞ্জনীর সক্কলের প্রতিনিধি হয়ে এগিয়ে এল নিজেদের দায়িত্বে। এদের এক নতুন নামকরণ করা হল - "আজকের গানওয়ালা"। এরাই শুরু করল 'নতুনদের নিয়ে নতুন ভাবনা'। নিয়মিতভাবে বাংলা গান নিয়ে কাজ করাই 'আজকের গানওয়ালা'র প্রাথমিক ইচ্ছে। রাগরঞ্জনী webTV-র মাস্ক পরা লোগো আপনারা দেখেছেন। সেই প্লাটফর্মে আর কিছুদিনের মধ্যেই আসছে এই "আজকের গানওয়ালা" দল। তারা সংগীতশিল্পীদের সঙ্গে তো বটেই, এছাড়াও নানান পেশায় যুক্ত মানুষজনের সাথে, আমাদের শ্রোতাদের সঙ্গে কথা বলবে, হঠাৎ হঠাৎ গান গেয়ে উঠবে, শোনাবে প্রতিভাবান ও প্রতিশ্রুতিসম্পন্ন নবীন কণ্ঠে নতুন/পুরোনো বাংলা গান। নবীন শিল্পীদের গান শোনানোর এই নতুন মঞ্চ। মূলতঃ তাদের ঘরে বসে গাওয়া গানই হবে "আজকের গানওয়ালা'র এইবারের দুর্গাপুজোর অঞ্জলি। আমি অপেক্ষায় আছি "আজকের গানওয়ালা"র আগামী কর্মকান্ডের প্রতি অসীম উৎসাহী হয়ে, ওদের জন্যে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে। আশা করি আপনারাও আমার মতো সেভাবেই অপেক্ষা করছেন। আমার বিশ্বাস, এই 'আজকের গানওয়ালা' রাগরঞ্জনীর ত্রিশ বছরে গড়ে ওঠা সুনাম ও আস্থার জমিতে উন্মুক্ত মনে নতুন গান-ভাবনার ফসল ফলাবে।
তাই এখন .......
'আর দেরি নয়,
ধর গো তোরা হাতে হাতে ধর গো' -
আসুন, সামনে বাংলা-গানের মিলনস্বর্গে দেখা হোক আমাদের। আগামী মাস থেকে প্রতি শনিবার ঠিক রাত্রি ৯টায়, রাগরঞ্জনী webTV-র Facebook পেজ-এ। প্রতি শনিবার, তবে প্রথম শনিবার থেকে নয়। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এবারের দেবীপক্ষে শুরু হবে এই পথচলা।
দুর্গে দুর্গে দুর্গতিনাশিনী
মহিষাসুরমর্দিনী জয় মা দুর্গে।
উফ্ ! কানে কি যে ব্যাথা ?
নাক তো বাতাস থেকে সরাসরি হাওয়া নেওয়া প্রায় ভুলতে বসেছে।
এমন করে গান-বাজনা হয় ? যতই virtual virtual বলে লাফাই, actual গানের মজলিস কোথায় একটা ধাক্কা খাচ্ছে না ? কিন্তু উপায় নেই যে। যার যতই আস্ফালন থাকুক, সব ওই বাড়ির চৌহদ্দির মধ্যে থেকে।
সুর ? সে যে চোখ বুজেছে অন্তঃপুরে.....................

এদিকে রাগরঞ্জনীর ত্রিশ বছর পূর্তি উৎসব নিয়ে তো এ বছর অনেক কিছু জল্পনা-কল্পনা ছিল। তার শুভসূচনাও হয়েছিল গত বছর, মানে ২০১৯ থেকেই। কিন্তু ২০২০-র সরস্বতী পুজোর পরেই যেন থামতে হল।
এলো সেই মাস্ক...... এ বছরের Fashion Icon
হাওয়াতে কথা ভাসবে না, সুর ভাসবে না, এতে নাকি ভাইরাস থাকতে পারে। ঢেকে রাখো মুখ, ঢুকে থাকো ঘরে। সুতরাং 'বহুর মধ্যে অন্যতম এক' আমাদের নিজেদের মিউজিক কোম্পানি 'রাগরঞ্জনী মিডিয়া এন্ড এন্টারটেইনমেন্ট' - সেও আরো বহুর মতো সুরহীন, ছন্দহীন - প্রায় স্থবির। কিন্তু না, ছন্দপতন ঘটেনি। তার কারণ, ছন্দে বেঁধে রাখবার জন্যে রাগরঞ্জনীর সমস্ত কর্মীবন্ধু আর ছাত্রছাত্রীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা। অফিস বন্ধ, তাই নতুন কাজে নতুন উদ্যমের কোন সুযোগ নেই। তবু আমাদের ওই অতি উৎসাহী রাগরঞ্জনী পরিবারের প্রতিনিধি হয়ে মূলতঃ তিনজন ঝাঁপিয়ে পড়লো এই ভার্চুয়াল মিডিয়াতেই কিছু একটা করবার উদ্দেশ্য নিয়ে। তাগিদটা এসেছিল অনেকের কাছ থেকেই, তবু বিশেষ করে সংগ্রাম চৌধুরী, জয়িতা ঘোষাল - এরা আমাকে বারবার নানাভাবে নতুন কিছু করবার সিগনাল পাঠাচ্ছিল। কিন্তু কিভাবে এগোনো যায়, তা নিয়ে পরিপূর্ণ কোন ভাবনা-চিন্তা করা যাচ্ছিল না। এরও কারণ সেই ঘরবন্দি মানসিক স্থবিরতা। কত কাজ থমকে রয়েছে। ২০২০-র ভেবে রাখা কাজের পরিকল্পনা আলমারির তাকেই জমে জমজমাট। এই অবস্থায় ওই তিনজন, অর্থাৎ রুমেলা, অভিষেক আর প্রিয়াঙ্কা রাগরঞ্জনীর সক্কলের প্রতিনিধি হয়ে এগিয়ে এল নিজেদের দায়িত্বে। এদের এক নতুন নামকরণ করা হল - "আজকের গানওয়ালা"। এরাই শুরু করল 'নতুনদের নিয়ে নতুন ভাবনা'। নিয়মিতভাবে বাংলা গান নিয়ে কাজ করাই 'আজকের গানওয়ালা'র প্রাথমিক ইচ্ছে। রাগরঞ্জনী webTV-র মাস্ক পরা লোগো আপনারা দেখেছেন। সেই প্লাটফর্মে আর কিছুদিনের মধ্যেই আসছে এই "আজকের গানওয়ালা" দল। তারা সংগীতশিল্পীদের সঙ্গে তো বটেই, এছাড়াও নানান পেশায় যুক্ত মানুষজনের সাথে, আমাদের শ্রোতাদের সঙ্গে কথা বলবে, হঠাৎ হঠাৎ গান গেয়ে উঠবে, শোনাবে প্রতিভাবান ও প্রতিশ্রুতিসম্পন্ন নবীন কণ্ঠে নতুন/পুরোনো বাংলা গান। নবীন শিল্পীদের গান শোনানোর এই নতুন মঞ্চ। মূলতঃ তাদের ঘরে বসে গাওয়া গানই হবে "আজকের গানওয়ালা'র এইবারের দুর্গাপুজোর অঞ্জলি। আমি অপেক্ষায় আছি "আজকের গানওয়ালা"র আগামী কর্মকান্ডের প্রতি অসীম উৎসাহী হয়ে, ওদের জন্যে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে। আশা করি আপনারাও আমার মতো সেভাবেই অপেক্ষা করছেন। আমার বিশ্বাস, এই 'আজকের গানওয়ালা' রাগরঞ্জনীর ত্রিশ বছরে গড়ে ওঠা সুনাম ও আস্থার জমিতে উন্মুক্ত মনে নতুন গান-ভাবনার ফসল ফলাবে।
'আর দেরি নয়,
ধর গো তোরা হাতে হাতে ধর গো' -
আসুন, সামনে বাংলা-গানের মিলনস্বর্গে দেখা হোক আমাদের। আগামী মাস থেকে প্রতি শনিবার ঠিক রাত্রি ৯টায়, রাগরঞ্জনী webTV-র Facebook পেজ-এ। প্রতি শনিবার, তবে প্রথম শনিবার থেকে নয়। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এবারের দেবীপক্ষে শুরু হবে এই পথচলা।
দুর্গে দুর্গে দুর্গতিনাশিনী
মহিষাসুরমর্দিনী জয় মা দুর্গে।
আসুক শান্তি
সুস্থ থাকুক বন্ধু-আত্মীয়-পরিজন।।
সুস্থ থাকুক বন্ধু-আত্মীয়-পরিজন।।
Comments
Post a Comment