একটু ভেবে দেখুন (পর্ব ৮)-বলি, হচ্ছেটা কি | Ektu Bhebe Dekhun Ep#8
একটু ভেবে দেখুন
পর্ব ৮
আজকের পর্ব - বলি, হচ্ছেটা কি ?
বয়স্কা মা তাঁর কিশোর পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দুয়ারে
দুয়ারে পুত্রের জীবন ভিক্ষা করছেন। চার ঘন্টা গুরুতর শ্বাসকষ্ট নিয়ে জীবনের দীপ জ্বালিয়ে রাখতে সবাই পারে না। কিশোর ছেলেটিও পারলো না। নিভে গেল তার ঝরঝরে তাজা জীবনের প্রদীপ। মুছে গেল মা'র চোখে ছেলের ভবিষ্যতের স্বপ্ন। মেডিকেল কলেজের সীমানায় পৌঁছেও তাকে অসীমের পথে পাড়ি দিতে হলো।
![]() |
অসুস্থ সন্তানকে নিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দুয়ারে |
কিন্তু কেন ? এই নিয়ে কালকে বঙ্গভূমি তোলপাড় - টিভি চ্যানেলের খোপে খোপে। কিশোরটি প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে সু-চিকিৎসার দ্বারস্থ হতে চেয়েছিল। এই চাওয়াটা তো আমাদের নাগরিক অধিকার, তাই না ? আমরা বিভিন্ন খাতে খাজনা দিই তো শুধু সভ্যতার তকমায় বাঁচবো বলে, প্রয়োজনে পরিষেবা পাবো বলে, তাই না ? তাহলে এই ছেলেটি কি দোষ করল যে তার প্রাথমিক চিকিৎসার জন্যে কোন হাসপাতাল, নার্সিংহোম ভর্তি নেবে না ? শ্বাসকষ্ট করোনার অন্যতম উপসর্গ বলেই কি ? এই অবহেলার যন্ত্রণা কেন সহ্য করবে সাধারণ মানুষ, যে মায়ের চোখের সামনে চিকিৎসা না পেয়ে তাঁর সন্তানকে মৃত্যবরণ করতে হবে ! কোন দেশে আছি আমরা ?
চাপা পড়ে যাবে অনেক কিছুই নতুন খবরের জোয়ারে। চাপা পড়বে না মায়ের কান্না, সারাটা জীবন তাকে কুরে কুরে খাবে এই ঘটনার অভিঘাত, তাঁর মৃত্যুর দিন পর্যন্ত।
করোনার চিকিৎসা যে ভাবে হচ্ছে সরকারি হাসপাতালে, তা প্রশংসার দাবি রাখে - অন্ততঃ আমি যেটুকু খবর পেয়েছি। সে নিয়ে লিখবো আরেকদিন। কিন্তু আমার প্রতিবাদ-মিশ্রিত আবেদন রইলো স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে যে - কোন সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোম বা কোনো স্বাস্থ্যকেন্দ্রের যেন এই অধিকার না থাকে যে তারা অবলীলায় ফিরিয়ে দিতে পারে মুমূর্ষু রুগীকে। বরং তারা যেন ফেরাতে পারে জীবনভিক্ষায় 'অগ্রদানী'র ভূমিকায় প্রতীক্ষিত জীবন।
প্রশ্নটা সকলের কাছে।
একটু ভেবে দেখবেন !
"একটু ভেবে দেখুন"-এর বাকি পর্ব পড়তে চাইলে নিচে দেওয়া লিংক-এ ক্লিক করুন ।
image courtesy : (1)georgephilipas
Comments
Post a Comment