সবুজদ্বীপের ডায়েরি (আন্দামান পর্ব-১৪) | Sobujdweeper Diary Ep#14
সবুজদ্বীপের ডায়েরি । 29th February 2020 । ভোর সাড়ে পাঁচটা .........
এই জারোয়ারা মূলতঃ বেঁচে থাকে সামুদ্রিক মাছ, শামুক, কচ্ছপ ইত্যাদি খেয়ে। এছাড়া ফলমূল, মধু ও শুয়োরের মাংসও খুব পছন্দের। কিন্তু এদের Immunity Power ঠিক আমাদের মতো নয়। ফলে এই অনুপ্রবেশকারীদের স্পর্শে এরা বেশ কয়েকবার মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয় - বিশেষতঃ ওই measles বা হাম জাতীয় - তাতে ওদের এই প্রজাতিটার বিলুপ্ত হবার সম্ভাবনা আরো বেড়ে যায়। আপনারা গতকাল যে রাস্তা দিয়ে বারাটাং দ্বীপে গেলেন, সেটা ১৯৭০-এ তৈরী - Andaman Grand Trunk Road। এই রাস্তার নির্মাণ জারোয়াদের একেবারেই পছন্দের জরিপ ছিল না। তবু সংখ্যালঘু আর পিছিয়ে থাকা উপজাতি সাধ্যমতো প্রতিবাদটা আর করে উঠতে পারে নি। রাস্তায় ওরা খাবারের খোঁজে এলে তবেই আপনারা দেখতে পান"।
প্রভূত তথ্য ও জ্ঞানচক্ষুর উন্মেষে মস্তিষ্ক বেশ ঊর্বর ঠাহর হলো। তাই আজ ডায়েরিটা সঙ্গে নিয়েই বেরিয়েছি। যতটা পারি পাওয়া তথ্যগুলো টুকে রাখব। জলখাবার এসে গেছে, ন'টার মধ্যে বেরোতে হবে। এখন কলমের আঁচড়ে ক্ষণিকের ইতি টানলাম। স্নান করে ঝুরঝুরে হতে ইচ্ছে করছে। স্যুটকেসে দেখলাম এখনো দু'টো না পরা জামা জুলজুল করছে। তারির মধ্যে একটাকে বের করলাম। সভ্য সময়ের সাজসজ্জার প্রলেপ লাগানো আজ আমাদের অভ্যেস। বাহারি পোশাকে, হয়তো বা ছদ্মবেশের বহিঃপ্রকাশে নিজেকে ঢাকবো, জারোয়া হতে পারবো না।
Comments
Post a Comment