সাগরপারের ডায়েরি-পর্ব-১ | Sagarparer Diary (Episode-1)
সাগরপারের ডায়েরি
(আমার জীবনে প্রথম যুক্তরাষ্ট্র বা আমেরিকা সফর আসে ২০১১ সালে - রবিঠাকুরের জন্মের সার্ধশতবর্ষে। এ এক অসীম প্রাপ্তি। যাঁকে আমি প্রতি মুহূর্তে স্বীকার করতে শিখেছি সাধারণ জ্ঞানের প্রথম লগ্ন থেকে, তাঁকে নিয়েই কাজ করতে যাব সুদূর আমেরিকায়, এ আমার স্বপ্নেরও অতীত ছিল। বিস্ময়ের ঘোর কাটিয়ে বাস্তবের মাটিতে আসতে সময় লেগেছিল। তাই মনের কোণে আজও ছবির মতো আঁকা রয়েছে সেই সময়ের ইতিকথা। আজ তুলে ধরলাম পাঠকের কাছে। এই 'কলম'কারি কোন ভ্রমণ-কাহিনী নয়। বরং সংগীতের হাত ধরে আর এক সংগীত-পিয়াসীর সাগরপারে যাত্রা। যেহেতু আত্মনিবেদনের আঙ্গিকে নিজের ভাল লাগার মুহূর্তগুলোকে স্মৃতিচারণার পটভূমিকায় তুলে ধরা, তাই অনেক ক্ষেত্রেই বিষয়ের উপস্থাপনা ব্যক্তিগত। কারোর যদি ভালো না লাগে, সেটাও স্বাভাবিক বলেই আমার মনে হয়। যাদের কারণে আমার এই সফর, তাদের নাম ও পুঙ্খানুপুঙ্খ পরিচয় তুলে ধরা হল কোনরকম পরিমার্জন ছাড়াই। কারণ আমি যে তাদের অনুরাগের কারণেই বৈরাগী।)
পর্ব-১
৪ঠা আগস্ট ২০১১ / ভারতীয় সময় সকাল ১১টা ৩০মিঃ
এমন যে ঘটতে পারে এ আমি কস্মিনকালেও আন্দাজ করিনি। জুন ২০১১র শেষ সন্ধ্যায় একটা ফোন পেলাম। ওপ্রান্তে নারীকণ্ঠ।
'তপন, প্রথম থেকেই তোমাকে তুমি সম্বোধন করছি। কারণ তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে বয়েসে তুমি আমার থেকে ছোটই হবে'।
পুরো ব্যাপারটাই এতো আকস্মিক যে ছোট-বড় বয়েসের ফারাক নিয়ে কোন প্রশ্নই আমার মনে আসে নি। আমার প্রাথমিক বিস্ময় সামলে নিলাম।
ভাবলাম 'আমাকে দেখে' ? এবার আমার আশ্চর্য হবার পালা। আমি এই মুহূর্তে রয়েছি কলকাতায় সল্টলেকে আর ফোনের কণ্ঠ প্রবাসে। আশপাশটা ভালো করে দেখে নিলাম। স্বপ্ন-টপ্ন নয় তো !
'অনুষ্ঠানের কনসেপ্ট আর তোমার প্রেসেন্টেশন দারুন লাগছে। আমার খুব ইচ্ছে হচ্ছে রবীন্দ্রজন্মের ১৫০তম বছরে যদি আমরাও একটা নতুন কিছু করি ? তো তোমাকে পেতে পারি' ?
দিদি-ভাইয়ের সম্পর্ক শুধু বয়েসের বিচারে হয় না। 'তপন' সম্বোধনের প্রথম মুহূর্ত থেকেই সুপর্ণাদি আমার 'দিদি'।
এই ডায়েরি লেখার কথাটা মাথায় এলো দোহা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে যখন নিউইয়র্কগামী প্লেনে চেপে বসলাম।
পরের পর্ব (দ্বিতীয়) পড়বার জন্যে এখানে ক্লিক করুন।
© tapan basu. all rights reserved.তপন বসু / চলবে .......
আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের কাছে অনুপ্রেরণা।
ReplyDelete