তপনের ডায়েরি ৪ / 30-July-2021
তপনের ডায়েরি ৪। ৩০শে জুলাই ২০২১
গতকাল হঠাৎ করে বোম্বে আসতে হলো। কারণটা বলছি - তার আগে বলি, বুবলু বারেবারেই শিরোর কথা বলতো। বলত, "বাবা, তুমি এলে শিরো-কে নিয়েই তোমার সময় কেটে যাবে। এতো মিষ্টি তোমায় কি বলব'। সত্যিই তাই। শিরো এমন একটা পুষ্যি, যে তার অনবদ্য আকার-প্রকারেই আপন করে নেবে আপনাকে।যাই হোক, খুব স্বাভাবিকভাবেই আজ সকাল থেকে ওর জন্যে মনটা কেমন যেন বিহ্বল হয়ে রইল। এর মধ্যে দেখি আমার চোখের একটু সমস্যা। কি রকম ? না, একটু যেন ঝাপসা দেখছি। সবে এসেছি বেঙ্গালুরু। এখনই এই বিষয় নিয়ে বুবলুকে বিব্রত করতে ইচ্ছে করছে না, তবুও বলতেই হলো। কারণ, এর উৎস কি বা কোথায়, তা জানাটা খুব জরুরি। গেলাম NIMHANS-এ - ন্যাশনাল ইন্সটিট্যুটে অফ মেন্টাল হেল্থ & নিউরোসায়েন্স। সেখানে তো এই পান্ডেমিক অবস্থাতেও তিল ধারণের জায়গা নেই।দেবতার মন্দিরে প্রবেশ করবার মতো করে লাইন দিয়ে পৌঁছলাম ডাক্তারের দরবারে। দেখলেন তাঁরা, বেশ মনোযোগ সহকারেই, তবে উত্তর পেতে তিন মাস অপেক্ষা করতে হবে।
এদিকে, বুবলু একটুও অপেক্ষাতে নারাজ। বাবা দেখতে না পেলে কিছুতেই যে হবে না। আমার দৃষ্টির ওপরে ওর যে এতটা শুভদৃষ্টি, ভেবেই কেমন পুলক অনুভব করলাম। বোঝা গেল, এদের দ্বারা হবে, কিন্তু অপেক্ষার প্রহর কমবে না। সুতরাং, বোম্বে। NIMHANS থেকে হিন্দুজা - সব আয়োজন বুবলুর। বেশ কিছু চেনা-কাছের মানুষ নানাভাবে সাহায্য করলেন। তাই চট করে Dr. Vasant K Mishra'র ডেট পেলাম। তাঁর সম্পর্কে সার্চ করলাম ওই আমাদের একমাত্র ঐতিহাসিক পাতাতে - গুগল.কম। আশ্চর্য হলাম তিনি এই মুহূর্তে বিশ্বের প্রথম পনেরো জন নিউরোলজিস্ট-এর মধ্যে অগ্রগণ্য একজন এবং তাঁর বেশ কিছু রিসার্চ ও থিসিস বিশ্বের দরবারে সমাদৃত।
Comments
Post a Comment